চিনের ভালোমানুষি মুখোশ টেনে ছিঁড়ে ফেললেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো!
করোনা আবহে শুধু আমেরিকার সঙ্গেই সম্পর্ক খারাপ হয়নি চিনের। এই সময় বিশ্বের তাবড় শক্তিশালী দেশ মুখ খুলেছে চিনের বিরুদ্ধে। এই আবহে ভারতের লাদাখের উপর কুনজর জমিয়েছে চিন। যেই ঘটনার জেরে আরও নিন্দার মুখে পড়তে হয়েছে বেজিংকে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলি একবাক্যে ভারতকে চিনের বিরুদ্ধে সমর্থন জানিয়েছেন।
চিনের উপর খাপ্পা ট্রুডো
এদিকে আমেরিকা ভারত ছাড়াও যে দেশের সঙ্গে নতুন করে চিনের সম্পর্ক অবনতী ঘটেছে, সেটি হল কানাডা। হংকংয়ের জাতীয় সুরক্ষা আইন লাগু হওযার পরই চিনের বিষয়ে আরও কঠোর হয়েছে কানাডা। এই আবহে হংকংয়ে সামরিক সরঞ্জাম রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
উত্তপ্ত হংকং
হংকয়ের রাস্তায় চলছে বিক্ষোভ৷ জড়ো হয়েছে প্রায় ১০০০ জনেরও বেশি লোক৷ কারও হাতে স্বাধীন হংকয়ের পতাকা৷ কারও হাতে স্লোগান বোর্ড৷ আর তাতে রয়েছে ব্রিটেনের পতাকা৷ বিক্ষোভকারীদের সরাতে তৎপর হংকং পুলিশ৷ ছোড়া হচ্ছে কাঁদানে গ্যাস, গোলমরিচের গোলা, রবারের বুলেট, এমনকী জলকামানও৷ হংকংয়ে লাগু হয়েছে নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন৷ আর তার পরদিনই আইনভঙ্গের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছে ৩৭০ জন হংকংবাসী৷
চিন-কানাডা সম্পর্কের অবনতী
প্রসঙ্গত, চিন ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের অবনতী হয় ২০১৮ সালে। হুয়েই-এর প্রধান ফিন্যান্সিয়াল অফিসার মেং ওয়্যাংঝুকে মার্কিন পরোয়ানায় গ্রেফতার করে কানাডা। এরপরই চিনে থাকা প্রাক্তন কূটনৈতিক মাইকেল কোভরি এবং ব্যবসায়ী মাইকেল স্পাভোরকে গ্রেফতার করে বেজিং। সেই ঘটনার প্রায় দুই বছর হতে চললেও কানাডার ওই নাগরিকদের কনসুলার অ্যাকসেস দেয়নি বেজিং। হংকংয়ের নতুন আইন নিয়ে সেই প্রসঙ্গ টেনেই বেজিংকে তোপ দাগোন ট্রুডো।
চিন বিরোধী জোটের অন্যতম সদস্য কানাডা
এদিকে চিনের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই জোট বেঁধেছে বিশ্বের ৮টি দেশ। বিশ্বের আটটি অন্যতম শক্তিধর দেশের সাংসদদের একটি জোট এই সিদ্ধান্ত নিয়ছে। এই জোটে আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন, জার্মানি, জাপান ছাড়াও রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, সুইডেন, নরওয়ে ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন সাংসদ।
চিন বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে
এই দেশগুলির আইনপ্রণেতারা আলোচনায় বসে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, চিন ক্রমেই বিশ্ব অর্থনীতি ও মানবাধিকারের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এছাড়া বিশ্ব সুরক্ষার ক্ষেত্রেও চিন বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর জেরে চিনকে রুখতে একজোট হতে চলেছে এই দেশগুলি।
চিনকে একঘরে করার মরিয়া চেষ্টা
এই জোট এমন এক সময়ে তৈরি হল যখন আমেরিকা জি ৭-এর মাধ্যমে চিনকে একঘরে করতে উদ্যত হয়েছে। ভারত, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে জি ৭-এর আমন্ত্রিত দেশগুলির তালিকা সম্প্রসারণ করতে চেয়েছিলেন ট্রাম্প। এই কারণে জি ৭-এর সম্মেলন স্থগিত রেখেছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
লাদাখে ড্রাগন বাহিনীর আগ্রাসন রোখার চাবিকাঠি লুকিয়ে রয়েছে দক্ষিণ চিন সাগরে!