ট্রাম্পের চাপে বিশাল ধাক্কা খেল টিকটক! চিন বিরোধী আবহে পদত্যাগ ভিডিও অ্যাপের সিইও-র
টিকটকের সিইও পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন কেভিন মায়ার। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন যে ৯০ দিনের মধ্যে মার্কিন সংস্থা যদি টিকটক না কিনতে পারে তবে আমেরিকায় ব্যান করা হবে এই ভিডিও অ্যাপটিকে। সেই প্রেক্ষিতেই এবার পদত্যাক করতে বাধ্য হলেন কেভিন। তাঁর বদলে এখন অন্তরবর্তীকালীন ভাবে দায়িত্ব সামলাবেন সংস্থার জিএম ভেনেসা পাপাস।
ট্রাম্পের আল্টিমেটাম
চিনের শর্ট ভিডিও অ্যাপ টিকটককে আমেরিকায় নিষিদ্ধ করা হবে বলে ঘোষণা ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তারপর এরই মধ্যে টিকটক কিনতে উদ্যোগী হয় মাইক্রোসফট। আর তাতে খানিকটা সুর পাল্টান ট্রাম্প। তবে এখনও তাঁর বক্তব্য যদি ৯০ দিনের মধ্যে টিকটক মার্কিন সংস্থার কাছে বিক্রি না হয় তবে তা নিষিদ্ধ হওয়া থেকে কেউ আটকাতে পারবে না।
আমেরিকাকে পাল্টা আক্রমণ চিনের
এদিকে এই বিষয়ে এবার আমেরিকার উপর খাপ্পা হয়েছে চিন। চিনের এই বিষয়ে বক্তব্য, আমেরিকা জোর জবরদস্তি করে টিকটকের মালিকানা পেতে চাইছে। এই ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে লড়াই অনিবার্য। কারণ চিন আত্মসমর্পণ করে না। পাশাপাশি চিনের হুমকি, বেজিং চাইলে আমেরিকার এই পদক্ষেপের প্রতিশোধ নিতে অনেক পাল্টা পদক্ষেপ নিতে পারে যা ওয়াশিংটনের জন্য ক্ষতিকারক হবে। যদিও আমেরিকার দাবি, টিকটক এতদিন ধরে সরাসরি সব তথ্য চিনের কমিউনিস্ট পার্টিকে দিচ্ছিল, যা দেশের নিরাপত্তার জন্য এক বিশাল আশঙ্কার বিষয়।
টিকটক কেনার বিষয়ে আলোচনা
তবে এরই মধ্যে টিকটকের মালিক বইট ডান্সের সঙ্গে অ্যাপটি কেনার বিষয়ে আলোচনা চালাচ্ছে মাইক্রোসফট। এমনটাই জানানো হয় সংস্থার তরফ থেকে। আমেরিকায় টিকটকের অপারেশন কিনে নেওয়ার বিষয়ে মাইক্রোসফট বাইটডান্সের সঙ্গে আলোচনা করছে। এই বিষয়ে ট্রাম্পের সঙ্গেও আলোচনা করছেন মাইক্রোসফটের প্রধান সত্য নাডেল্লা।
ডিজিটাল স্ট্রাইকের পরিধি বাড়াবে আমেরিকা
শুধু চিনা অ্যাপ নয়, চিনের উপর ডিজিটাল স্ট্রাইকের পরিধি বাড়াতে সব রকম প্রস্তুতি সেরে রাখছে আমেরিকা। মার্কিন সেক্রেটারি অফ স্টেট মাইক পম্পেও এই বিষয়ে জানান, আসন্ন দিনগুলিতে চিনা মালিকানাধীন সকল সফটওারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির বিষয়ে ভাবছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনা কমিউনিস্ট পার্টির নজরদারি রুখতে টিকটকের মতো চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ও ৫জি সম্প্রসারণে চিনা কোম্পানিকে বর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হিসাবে কাজ করতে পারে।
কিম কি আদৌও মারা গিয়েছেন? নাকি পুরোটাই আমেরিকাকে বোকা বানানোর ফন্দি!