করোনা টিকাকরণ থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন বিশ্বের ২০ শতাংশ মানুষ, নয়া সমীক্ষায় বাড়ছে উদ্বেগ
করোনা টিকাকরণ থেকে বঞ্চিত হতে চলেছেন বিশ্বের ২০ শতাংশ মানুষ, নয়া সমীক্ষায় বাড়ছে উদ্বেগ
টিকা আবির্ভারের পর করোনা আতঙ্ক খানিক কমলেও ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে অন্য ভয়। প্রশ্ন উঠছে ভ্যাকসিনের সমবন্টন নিয়ে। এদিকে আগামী বছর পর্যন্ত সম্ভাব্য ভ্যাকসিনগুলির ৫০ শতাংশ ডোজ আগেভাগেই 'বুক' করে রেখেছে বিশ্বের একাধিক বিত্তশালী দেশ। সম্প্রতি ব্রিটেন ও আরবের মত দেশে টিকাকরণ শুরু হলেও জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুলের সমীক্ষা অনুযায়ী ২০২২ পর্যন্ত ভ্যাকসিন পাবেন না বিশ্বের এক-পঞ্চমাংশ জনসংখ্যা। তার তার জেরেই বাড়ছে উদ্বেগ।
ভ্যাকসিনের অসমবন্টন ক্রমেই বাড়ছে উদ্বেগ
জন হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুলের জনস্বাস্থ্য বিভাগের সমীক্ষার রিপোর্ট বলছে, বিশ্বের ১৩টি উৎকৃষ্ট ভ্যাকসিনের অর্ধেকের বেশি ডোজ আগামী বছর পর্যন্ত আগাম কিনে রেখেছে ধনবান দেশগুলি। মজার কথা এই যে, বিশ্ববাসীর মাত্র ১৪%-এর বাস এই দেশগুলিতে। স্বাভাবিকভাবেই আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া দেশগুলির ভ্যাকসিন পাওয়ার বিষয়ে উঠছে প্রশ্ন। রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত হয়তো বিশ্বের পাঁচভাগের একভাগ মানুষই ভ্যাকসিনের অভাবে ধুঁকবেন।। যা শুনে আঁতকে উঠেছেন স্বাস্থ্যবিদরা।
বিত্তবান দেশগুলির উপর নির্ভরশীলতাই ডেকে আনছে বিপদ
এদিকে বিএমজে মেডিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০২১ পর্যন্ত প্রায় ৫৯৬ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ প্ৰস্তুতের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছিল একাধিক ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সংস্থা। যদিও পরবর্তীতে মধ্য-নভেম্বর পর্যন্ত হিসাব করে দেখা যায় যে, ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকরা আগামী বছরেই প্রায় ৭৪৮ কোটি ডোজ প্ৰস্তুত করতে সক্ষম। তার মধ্যে ৪০ শতাংশ করোনা টিকার ডোজ গরিব দেশগুলিকে সরবরাহের কথা থাকলেও তার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে বিত্তবান দেশগুলির করুণা দৃষ্টির উপরেই।
প্রশ্ন উঠছে রাশিয়া, আমেরিকার ভূমিকা নিয়ে
অন্যদিকে কোভিড ভ্যাকসিন না পৌঁছানো পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ভ্রমণ ও দেশগুলির আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য আগের মতো কোনোভাবেই স্বাভাবিক হবে না। অন্যদিকে, আর্থিকভাবে বিধ্বস্ত দেশগুলিতে ২০২১-এর মধ্যে প্রায় ২০০ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ সরবরাহের জন্য হু 'কোভ্যাক্স ফেসিলিটি' চালু করলেও তাতে এখনও সহায়তার হাত বাড়ায়নি রাশিয়া ও আমেরিকা। স্বভাবতই এই দেশগুলির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে আন্তর্জাতিক মহলে।
সকল দেশের সাহায্য ব্যতীত অসম্ভব বিশ্বব্যাপী টিকাকরণ
অন্যদিক গবেষণা রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, দু'ডোজের ভ্যাকসিন মজুতের জন্য যে পরিকাঠামো দরকার, তা অধিকাংশ দেশেই নেই। এমতবস্তায় বিত্তবান দেশগুলির সাহায্যবিনা বিশ্বব্যাপী টিকাকরণ কর্মসূচী নেওয়া কার্যত অসম্ভব। সূত্রের খবর, কানাডার মত দেশে মাথাপিছু চারটে করে ডোজ ধরা হলেও ইন্দোনেশিয়ার সরকার কিনেছে দুইজন পিছু একটি ডোজের হিসাবে। ফলে বণ্টনব্যবস্থা হোক বা ভ্যাকসিনের অগ্নিমূল্য, করোনাকে ঘিরে যে সরগরম বিশ্ব-রাজনীতি, তা বলাই বাহুল্য।
শুভেন্দুর সঙ্গে বিজেপিতে মুকুল-ঘনিষ্ঠ শীলভদ্রও! একের পর এক ধাক্কায় নাজেহাল তৃণমূল