ব্রাসেলসের রাস্তায় সৈন্যদের উপর চাপাতি নিয়ে হামলা
হামলাকারী পুলিশের গুলিতে নিহত। সে ‘সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য পরিচিত ছিল না’ কিন্তু সৈন্যদের উপর চাপাতি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করে ওঠে।
বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের কেন্দ্রস্থলে এক ব্যক্তি চাপাতি নিয়ে দুজন সৈন্যকে আক্রমণের পর গুলিতে নিহত হয়েছে।
ত্রিশ বছর বয়েসী এই আক্রমণকারী ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ হয় এবং হাসপাতালে মারা যায়।
হামলার শিকার দুই সৈন্যের একজনের মুখমণ্ডল এবং আরেকজনের হাতে ক্ষত তৈরি হয়েছে।
প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, যেখানে হামলা চালানো হয়েছে সেই এলাকাটিকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘিরে রেখেছে।
গত বছর এক সন্ত্রাসী হামলায় বত্রিশ জন নিহত হবার পর থেকে ব্রাসেলসের রাস্তায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত মুখ।
একটি বড়সড় নিরাপত্তা অভিযান পরিকল্পনার অংশ এটি যেটির মুখ্য উদ্দেশ্য হচ্ছে কোন সন্ত্রাসী হামলা হলে যাতে দ্রুত উদ্ধার তৎপরতা চালানো যায়।
এই সৈন্যরা গত জুন মাসেই ব্রাসেলসের কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশনে একজন সন্দেহভাজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করে।
এরকম প্রেক্ষাপটে ব্রাসেলসের একবারে কেন্দ্রস্থলে থাকা বুলেভার্ড এমিলে জ্যাকমেইনে এই চাপাতি হামলার ঘটনা ঘটল।
কেন্দ্রীয় প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, চাপাতি হাতে যে ব্যক্তিটি ওই দুই সৈন্যের উপর আক্রমণ চালায় সে 'সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য পরিচিত ছিল না' কিন্তু হামলা চালানোর সময় 'আল্লাহু আকবর' বলে চিৎকার করে ওঠে।
প্রসিকিউটরের কার্যালয় বলছে, শুক্রবারের ওই হামলাটিকে একটি সন্ত্রাসী তৎপরতা হিসেবেই বিবেচনা করা হচ্ছে।
ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী রায়ান ম্যাকডোনাল্ড টুইটারের লিখেছেন, তিনি ওই এলাকা থেকে গুলির শব্দ শোনেন তারপর পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করেন।
সম্পর্কিত খবর:
ব্রাসেলসের বিমানবন্দরে বিস্ফোরণ
ব্রাসেলসে হামলার পরপর তোলা কিছু ছবি