সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্ল্যাটমেটকে কটূক্তি, ব্রিটিশ মহিলার ২ বছরের জেল দুবাইয়ে
সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্ল্যাটমেটকে কটূক্তি, ব্রিটিশ মহিলার ২ বছরের জেল দুবাইয়ে
ডাইনিং
টেবিল
থেকে
ঝামেলা
গড়াল
সোজা
জেল
পর্যন্ত।
এমনটাই
ঘটেছে
দুবাইয়ে।
লকডাউনে
'ওয়ার্ক
ফ্রম
হোম'-এর
জন্য
ডাইনিং
টেবিল
ব্যবহার
নিয়ে
বাকবিতণ্ডা
চরমে
ওঠে
এক
ব্রিটিশ
মহিলা
ও
তাঁর
ইউক্রেনের
ফ্ল্যাটমেটের
মধ্যে।
সূত্রের
খবর,
রেগে
গিয়ে
সোশ্যাল
মাধ্যম
ওয়াটসঅ্যাপে
সঙ্গীনীকে
কটূক্তি
করেন
ওই
ব্রিটিশ
মহিলা।
তবে
দুবাইয়ের
আইন
যে
তাঁকে
টেনে
আনবে
জেল
পর্যন্ত,
তা
বোধহয়
স্বপ্নেও
কল্পনা
করেননি
ওই
ব্রিটিশ
মহিলা!
বাড়ি ফেরার আগেই ঘটে গেল বিপত্তি
আন্তর্জাতিক সূত্রের খবর, ব্রিটেনের গ্লাউশেষটারশায়ারের ওই মহিলা ২০১৮ থেকেই দুবাইয়ে মানবসম্পদ ম্যানেজারের পদে আসীন। জানা গেছে, গত সপ্তাহে দুবাইয়ের কাজ ছেড়ে স্বামীর সঙ্গে পাকাপোক্তভাবে থাকার জন্য ও নতুন একটি চাকরিতে বহাল হওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানে উঠতে যাচ্ছিলেন ওই মহিলা। তখনই পুলিশ কেসের কারণে ওই মহিলাকে দেশ ছাড়তে বাধা দেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, কয়েক হাজার পাউন্ডের জরিমানা না দিলে প্রায় ২ বছর দুবাইয়ে হাজতবাস করতে হতে পারে ওনাকে!
জামিনের
অর্থ
জোগাড়
করতে
গিয়ে
দিশেহারা
মহিলা
দুবাইয়ের সংবাদপত্র অনুসারে, ওই মহিলার সকল জিনিসপত্র আগেই বিমান মারফত ব্রিটেনে পৌঁছে গিয়েছে। বর্তমানে থাকা-খাওয়ার ন্যূনতম টাকাও নেই তাঁর কাছে, এমনকি আগামী আটদিনের মাথায় ভিসা সময়োত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছেন ওই অভিযুক্ত ব্রিটিশ মহিলা। স্বাভাবিকভাবেই কিভাবে দিন গুজরান করবেন, সে বিষয়ে কিছুই স্থির করতে পারছেন না ওই মহিলা। সূত্রের খবর, এক বান্ধবীর বাড়িতে বর্তমানে থাকলেও জামিনের অর্থ কিভাবে জোগাড় হবে, তা ভেবেই দিশেহারা ওই মহিলা।
অনুনয়েও মিলল না ফল
জানা গেছে, প্রায় কয়েকবার থানায় যাওয়ার পর ব্রিটিশ মহিলা আসল ঘটনার কথা জানতে পারেন। এরপরে প্রায় তৎক্ষণাৎ ইউক্রেনের ওই মহিলার কাছে অনুনয়-বিনয় করলেও ফল মেলেনি। ওই মহিলা কেস তুলে নেওয়ার প্রসঙ্গে সাফ 'না' করে দেন বলেই খবর সূত্রের। ব্যক্তিগত বাক্যালাপের জের যে এভাবে তাঁর জীবনকে সংশয়ের দিকে টেনে নিয়ে যাবে, সেটা ভেবেই ভেঙে পড়েছেন ব্রিটিশ মহিলা। সর্বসমক্ষে ক্ষমা চেয়েও হয়নি লাভ, স্বভাবতই দিশেহারা অভিযুক্ত মহিলা।
দুবাইয়ের
কড়া
সাইবার
আইনের
বেড়াজালে
ব্রিটিশ
মহিলা
আন্তর্জাতিক মহলের মতে, দুবাইয়ের সাইবার অপরাধ আইনের এতটা কড়া হওয়ার নেপথ্যে ভূমিকা রয়েছে ডিটেইন্ড ইন দুবাই অ্যান্ড ডিউ প্রসেস ইন্টারন্যাশনাল-এর সিইও রাধা স্টার্লিংয়ের। সম্প্রতি ওই ব্রিটিশ মহিলার ন্যায় বেশকিছু বিদেশি দুবাইয়ের সাইবার ক্রাইম আইনের জালে জড়িয়ে পড়েছেন বলে খবর সূত্রের। এ প্রসঙ্গে রাধার বক্তব্য, শুধুমাত্র একটি নেতিবাচক ও অপমানজনক শব্দের জন্য যেকোনো বিদেশি নাগরিককে সাইবার আইনের ধারায় গ্রেপ্তার করতে পারে দুবাই পুলিশ। এমনকী হতে পারে কড়া সাজাও।
কৃষকদের নয়, সমর্থন কেন্দ্রকে, তাপসী পান্নু–সোনাক্ষী সিনহার তোপের মুখে অক্ষয় কুমার, অজয় দেবগণরা