নেপথ্যে ব্রিটিশদের ভারতীয় বিদ্বেষ! জনপ্রিয়তার দিক ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন ঋষি সুনক
নেপথ্যে ব্রিটিশদের ভারতীয় বিদ্বেষ! জনপ্রিয়তার দিক ক্রমেই পিছিয়ে পড়ছেন ঋষি সুনাক
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে কে শেষ হাসি হাসবেন, এই নিয়ে একাধিক সমীক্ষা হয়ে গিয়েছে। ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন যখন পদত্যাগ করেন, জনপ্রিয়তার দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভুত ঋষি সুনাক। কিন্তু সময় যত এগোচ্ছে লিজ ট্রাস সুনাককে পিছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সুনাকের জনপ্রিয়তা এভাবে তলানিতে ঠেকছে কেন? জাতিগত সমস্যা না অন্যকিছু, সেই নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
ভারতীয় যোগ সুনকের জনপ্রিয়তার পথে বাধা
কনজারভেটিভ দলের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করবেন। কনজারভেটিভ দলের সদস্যদের সংখ্যা ব্রিটেনের এক শতাংশও নয়। তবে কনজারভেটিভ দলের ৯০ শতাংশ সদস্য জানিয়েছেন, কাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। কিন্তু ব্রিটেনে পর পর কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, জনপ্রিয়তার দিক থেকে ঋষি সুনাক পিছনে পড়ে গিয়েছেন। এর নেপথ্যে জাতিগত কারণ থাকতে পারে। ঋষি সুনাকের বাবা-মা ভারতীয় অভিবাসী ছিলেন। অন্যদিকে, ব্রিটিশ নাগরিদের জাত নিয়ে আলাদা অহঙ্কার রয়েছে। সেখান থেকে তারা ঋষি সুনাককে কতটা মেনে নেবেন বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। যদিও এই বিষয়কে বিশেষ পাত্তা দিতে নারাজ একদল মার্কিন বিশেষজ্ঞ। তাঁরা মনে করছেন, ব্রিটেনের বর্তমান পরিস্থিতি মোটেই অনুকূল নয়। এই সমস শুধুমাত্র জাতিগত কারণে ব্রিটেন যোগ্য কোনও প্রর্থীকে হারাতে চাইবে না।
‘বিশ্বাসঘাতক’ সুনাক
ব্রিটেনের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের ওপর সাংসদদের অসন্তোষ বাড়ছিল। এই পরিস্থিতিতে চ্যান্সেলর পদ থেকে প্রথম ইস্তাফা দেন ঋষি সুনাক। বলা যেতে পারে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিরুদ্ধে প্রথম তিনি যুদ্ধ ঘোষণা করেন। কারণ ঋষি সুনাকের পর একের পর এক সাংসদ পদত্যাগ করতে শুরু করেন। এখন কনজারভেটিভ দলের সাংসদরা মনে করছেন, যিনি খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন, তাঁকে ক্ষমতার শীর্ষে বসানো ঠিক হবে না। যদিও তাঁরাই সুনাকের পদ অবলম্বন করে পদত্যাগ করেছিলেন।
‘খলনায়ক’ চ্যান্সেলর সুনাক
চ্যান্সেলর হিসেবে ঋষি সুনাক একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। তারমধ্যে অন্যতম ছিল কর বাড়ানো। তিনি চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ কর বাড়িয়েছিলেন। যারফলে শ্রমিক শ্রেণির মানুষ থেকে নিয়োগকর্তা সকলকেই আঘাত করে। ব্রিটেনের অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, এটা তাঁর ভুল সিদ্ধান্ত ছিলেন। সেই কারণেও তাঁর জনপ্রিয়তা বেশ খানিকটা ভাটা পড়ে যায়। পাল্টা লিজ ট্রাস একের পর এক মনমোহিনী প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন। তিনি একদিকে যেমন কর কমানোর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তো অন্যদিকে, মূদ্রাস্ফীতি রোধের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। তিনি নিজেকে জনসনের ব্রেক্সিটের উত্তরসূরী হিসেবে প্রকাশ করছেন। যার ফলে লিজ ট্রাসের জনপ্রিয়তা এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যাচ্ছে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে জোর লড়াই, ঋষি সুনকের জয়ের জন্য যজ্ঞ ভারতীয় বংশোদ্ভুতদের