ভারতীয় সেনা আছে বলেই জম্মু ও কাশ্মীর আফগানিস্তান হয়ে যায়নি, দাবি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
ভারতীয় সেনা আছে বলেই জম্মু ও কাশ্মীর আফগানিস্তান হয়ে যায়নি, দাবি ব্রিটিশ পার্লামেন্ট
কাশ্মীরকে আফগানিস্তান হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করেছে ভারতীয় সেনা, এরকম বক্তব্য পড়লেই অনেকে ধারণা করবেন হয় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ কিংবা বিজেপি কোনও নেতা এই বক্তব্য রেখেছে৷ কিন্তু না, এবার ভারতীয় সেনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলন ব্রিটিশ পার্লামেন্ট। সম্প্রতি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের 'হাউস অফ কমনস'-এ কাশ্মীর নিয়ে ভারতীয় সেনার ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করলেন বব ব্ল্যাকম্যান।
কে এই বব ব্ল্যাকম্যান?
বব ব্রিটিশ সংসদেরই একজন সদস্য। সম্প্রতি তিনি, হাইস অফ কমনস'-এ একটি বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন৷ এখানেই তিনি দাবি করেন আজ তালিবানের দখল আফগানিস্তানের যে অবস্থা হয়েছে কাশ্মীরেরও একই দশা হত যদি না ভারতীয় সেনা সেখানে প্রতিরোধে থাকত।
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভারতবিরোদী হাওয়া তুলতে চেয়েছিলেন পাকিস্তান বংশোদ্ভুত ইয়াসমিন!
ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাকিস্তান বংশোদ্ভুত ইয়াসমিন কুরেশি ও আর এক সাংসদ ডেবি আব্রাহামসের আবেদন মতো 'জম্মু কাশ্মীরে মানবাধিকার' প্রসঙ্গে আলোচনা চলছিল৷ সেখানেই নিজের বক্তব্য রাখতে গিয়ে বব ব্ল্যাকম্যান৷ খুব প্রাসঙ্গিক ও স্পষ্ট যুক্তির অবতারণা করে বব বলেন, ' সবার মনে রাখা উচিৎ কাশ্মীর উপত্যকায় মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হতে পারে কিন্তু জম্মুতে হিন্দুদের সংখ্যা বেশি। আবার লাদাখ মূলত বৌদ্ধ অধ্যুষিত।পাশাপাশি ঐতিহাসিকভাবে দেখলেও বোঝা যাবে কাশ্মীর উপত্যকায় হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান, মহিলা ও শিশুরা বারবার দুর্ভাগ্যজনক পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।'
ভারতীয় সেনা আছে তাই কাশ্মীর আফগানিস্তান হয়ে যায়নি!
একইসঙ্গে আফগানিস্তানের প্রসঙ্গ তুলে ইয়াসমিন কুরেশিদের কার্যত ধুয়ে দেন বব। তিনি বলেন আফগানিস্তানে সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর তালিবান সহ অন্যান্য সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলি কিভাবে রোজ মানবতার হত্যালীলায় মেতেছে তা সারা বিশ্ব দেখছে৷ কাশ্মীর থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়া হলে সেখানেও একি অবস্থা হবে৷ রাতারাতি ওখানে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে যাবে৷ এরপরই বব বলেন ভারতীয় সেনা আছে বলেই কাশ্মীর এখনও আফগানিস্তান হয়ে যায়নি৷ উপত্যকায় নিয়মিত জোর করে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তকরণ, খুন, বিস্ফোরণ ঘটানোর কাজ চলছে৷ ওখান থেকে সেনা সরিয়ে সন্ত্রাসবাদকে আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কোনও মানে হয় না!
আজ মোদী-বাইডেন বৈঠক!
প্রসঙ্গত শুক্রবারই এই প্রতিবেদন লেখার সময় ওয়াশিংটনে মোদী-বাইডেন বৈঠক চলছে৷ যেখানে অস্ট্রেলিয়া ও জাপানের রাষ্ট্রপ্রধানরাও রয়েছেন৷ একটি কোয়াড জোটে রয়েছে এই চারটি দেশ৷ গত মার্চে এই জোট তৈরি হয়েছে পারস্পারিক নিরাপত্তার ও সহযোগীতা বাড়ানোর জন্য। যদিও এ নিয়ে চিন আগেই তাদের বিরোধিতা প্রকাশ করেছে৷