করোনার মাঝেই ব্রেক্সিট ফাইনাল ব্রিটেনে, নতুন বাণিজ্য চুক্তি ইউরোপীয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে
ফের ভয়ঙ্কর করোনা থাবা বসিয়েছে ব্রিটেনে। এর মধ্যেই চরম সিদ্ধান্তটা নিয়েই ফেললেন বরিস জনসন সরকার। সময়সীমা পেরোনোর আগেই ব্রেক্সিটে যাওয়ার সিদ্ধান্তটা চূড়ান্ত করে ফেললেন তিনি। তারসঙ্গে এক নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে নতুন বাণিজ্য চুক্তিটা করে ফেলল ব্রিটেন। বাণিজ্যের ধাক্কা যাতে সামলে উঠতে পারে তার প্রস্ততিটাই সেরে রাখল ব্রিটেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে নতুন বছরে হঠাৎ করে ধাক্কা খাবে না ব্রিটেন। ব্রেক্সিটের পর মূলত বাণিজ্যেই বড় ধাক্কা আসতে চলেছিল ব্রিটেনের।

নতুন বাণিজ্য চুক্তিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের কোনও বাণিজ্যে কোনও কর দিতে হবে না। অর্থাৎ ব্রিটেনে বাণিজ্য করতে চাইলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিকে কোনও শুল্ক বা কর দিতে হবে না। আবার ব্রিটেনও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোনও দেশে বাণিজ্য করতে চাইলে তাকে কর বা শুল্ক দিতে হবে না। চলতি বছরের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত এই চুক্তি চূড়ান্ত করার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল তার আগেই চুক্তি চূড়ান্ত করেন বরিস জনসন সরকার।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চুক্তির পর এই প্রথম ইউরোপীয়ন ইউনিয়নের সঙ্গ ছাড়তে চলেছে ব্রিটেন। একুশের শুরুতেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে ব্রিটেনের ব্রেক্সিট বড় ঘটনা হতে চলেছে। এদিকে গোটা দেশ নতুন করে করোনা থাবায় কাঁপছে। করোনা ভাইরাসের নতুন অভিযোজন লক্ষ্য করা গিয়েছে ব্রিটেনে। এই নতুন স্ট্রেন আরও মারাত্মক আকারের। তাতে প্রাণ নাশের আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। এই নিয়ে তুমুল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে গোটা বিশ্বে। ইতিমধ্যেই ব্রিটেনের উড়ান বন্ধ করে দিয়েছে একাধিক দেশ। ভারও সেই পথেই হেঁটেছে। এদিকে আবার ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে। সেই সফরে ভারতের সঙ্গে একাধিক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে ব্রিটেনের। এমন ইঙ্গিত মিলেছে।