লাগাম ছাড়া গ্যাসের দাম, ব্রেন্ট ক্রুড অনুযায়ী তেলের দাম ব্যারল প্রতি পৌঁছল ১২০ মার্কিন ডলারে
বিশ্ব বাজারে রেকর্ড বৃদ্ধি পেল জ্বালানি তেলের দাম
প্রতিদিনই
বেড়ে
চলেছে
পেট্রোল
ও
ডিজেলের
দাম।
এর
প্রভাব
পড়েছে
আন্তর্জাতিক
বাজারেও।
পেট্রোল-ডিজেলের
এভাবে
দাম
বৃদ্ধির
কারণে
আন্তর্জাতিক
বাজারে
তেলের
দাম
প্রতি
ব্যারলে
১২০
বলার
ছাড়িয়ে
গিয়েছে।
এমনকি
মার্কিন
যুক্তরাষ্ট্রেও
তেলের
দাম
রেকর্ড
হারে
বৃদ্ধি
পেয়েছে।
সম্প্রতি
খবর
প্রকাশিত
হয়েছে
যে
টেক্সাস
ইন্টারমিডিয়েটে
তেলে
দাম
ব্যারেল
প্রতি
১১৬
মার্কিন
ডলারের
বেশি।
আন্তর্জাতিক
তেলের
মানদণ্ড
ব্রেন্ট
ক্রুড
অনুযায়ী
তেলের
দাম
বৃদ্ধি
পেয়েছে
রেকর্ড
হারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে সময়ে গাড়ি চালানো বেশি হয়, সেই সময়ে তেলের দাম বৃদ্ধি পায় বলে জানা গিয়েছে। এমনিতেই ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনের পর রাশিয়ার তেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমী দেশগুলো।আর তার সরাসরি প্রভাব এসে পড়েছে বিশ্ব তেল বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে অর্থনীতিবিদদের মন্তব্য, চিনে করোনার বিধিনিষেধ শিথিল করায় অত্যাধিক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও সরবরাহ কম, আর এরই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ড্রাইভিং মরশুমের শুরু, তার উপরে বিষ ফোঁড়া ইউক্রেন নিয়ে রাশিয়ার আগ্রাসন, এই ত্রিশঙ্কু আক্রমণের কারণেই হু হু করে তেলের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারে।
জ্বালানির দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনে। আগুন হয়েছে হেঁশেল। রান্নার তেল থেকে শুরু করে নুন,মশলা, চাল,ডাল আটা সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে হুহু করে। সাধারণ মানুষের পকেটের পড়েছে টান। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশেও ফের পেট্রোল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আম আদমিকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিয়ে দিন কয়েক আগেই সামান্য কমেছিল পেট্রোল ডিজেলের দাম। কিন্তু এই ঘটনায় ফের পকেটে আগুন লাগার সম্ভাবনা দেখছেন সাধারণ মানুষ।
ভারতীয় রেলের নতুন নিয়ম! বেশি লাগেজ বহন করা হতে পারে ব্যয় বহুল
তবে এখানেই শেষ নয়, তেলের পাশাপাশি কয়লার দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে বিদ্যুতের ওপর। বিদ্যুতের প্রতি ইউনিটের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি কয়লার ঘাটতির কারণে গোটা দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় পাওয়ার কাট হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভারতে দেখা দিয়েছে জ্বালানি কয়লার ব্যাপক ঘাটতি। আর যার ফলে বেশ কয়েকদিন ধরে লাগাতার বেড়েছে লোড শেডিং-এর মাত্রাও। এমনকি কয়লা পরিবহন যাতে দ্রুত হয় এবং দেশের বিভিন্ন তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে যাতে তা দ্রুত বন্টন করে বিদ্যুতের ঘাটতি মেটানো সম্ভব হয় তাই কয়লার ওয়াগন পরিবহণের জন্য একাধিক যাত্রীবাহী ট্রেনও বাতিল করেছে রেল। কিন্তু তারপরেও জ্বালানি ঘাটতি নিয়ে চিন্তার ভাঁজ বিশেষজ্ঞদের কপালে।