তুরস্ক-সৌদি দ্বন্দ্বে বিভক্ত মুসলিমবিশ্ব! ক্ষমতা দখলের লড়াই পরিণত হয়েছে স্নায়ুযুদ্ধে
ইজরায়েলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের চুক্তি নিয়ে সরগরম মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি। আরব পিস ইনিশিয়েটিভের ভিত্তিতে ইজরায়েলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়াতে পারে সৌদি আরবও। আর এতেই স্পষ্ট হচ্ছে যে ইজরায়েলের সঙ্গে মুসলিম দেশগুলির সম্পর্ক ভালো হচ্ছে ধীরে ধীরে। এদিকে কাশ্মীর ইস্যুতেও পাকিস্তানের কথায় কান দিচ্ছে না ওইসিভুক্ত দেশগুলি।
মুসলিম বিশ্বের খালিফা হতে চাইছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট
তুরস্কের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ন মুসলিম বিশ্বের খালিফা বা প্রধান ব্যক্তি হতে চাইছেন। এই লক্ষ্যে তিনি ওআইসি-র সমন্তরাল একটি গোষ্ঠী তৈরি করতে চাইছেন। পাকিস্তান তাতে তুরস্কের সঙ্গে রয়েছে। যার ফল স্বরূপ কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের ছোটো ছোটো দাবিগুলি মেনে নিচ্ছে তুরস্ক।
সৌদি আরবের কাছে ঋণগ্রস্ত পাকিস্তান
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশনে কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের বিরুদ্ধে না দাঁড়ানোয় পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী শাহ মহম্মদ কুরেশি সৌদিকে সতর্ক করেছিলেন। সেই সতর্কবার্তার খেসারতও চুকোতে হয় পাকিস্তানকে। চিন থেকে ১ বিলিয়ন ডলার ধার নিয়ে তা দিয়ে সৌদির ঋণ শোধ করতে হয়েছে পাকিস্তানকে।
কাশ্মীর ইস্যু
উল্লেখ্য, পাকিস্তান চেয়েছিল ৫ অগাস্টকে কেন্দ্র কের কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থানকে নিন্দা করুক আরবদেশগুলি। তাই ওআইসির বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে কাশ্মীর প্রসঙ্গ উত্থাপন করতে চেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পাকিস্তান কাশ্মীর প্রসঙ্গ তুলতেই ৫৭ সদস্যের ওআইসি তা নস্যাৎ করে। রাষ্ট্রসংঘের পরে এই মুসলিম দেশ সম্বলিত ওআইসি বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংগঠন। আর সেখানেই পাকিস্তানের কাশ্মীর নিয়ে ঘ্যানঘ্যান মুখ থুবড়ে পড়েছে। আর এই আবহে তুরস্কের সাহায্য পেয়ে আপ্লুত পাকিস্তান।
ভারতের অভ্যন্তরে নাক গলাচ্ছে তুরস্ক
এই আবহে দ্রুত বেগে ভারতের অভ্যন্তরে দেশবিরোধী জাল ছড়িয়ে দিতে এবার উদ্যত হয়েছে তুরস্ক। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বিষয়ে পাকিস্তান ও চিনের পরে যদি কোনও দেশ সবথেকে বেশি সরব হয়ে থাকে, তাহলে সেটা হল তুরস্ক। এবং শুধু সরব হওয়াতেই এই বিষয়টি থেমে নেই। তুরস্ক ভারতের অভ্যন্তরেই দেশবিরোধী মনোভাব সৃষ্টির এক জাল ক্রমেই বিস্তার করছে চুপিসারে।
তুরস্কের 'মগজ ধোলাই'
শুধু তাই নয় তুরস্ক তাদের এই কার্যকলাপ চালানোর জন্য সময় সময় পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এরও মদত নিয়ে থাকে বলে জানা যাচ্ছে। ভারতীয় মুসলিম ছাত্র, বিশেষ করে কাশ্মীরি ছাত্রদের তুরস্ক স্কলারশিপ দিয়ে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া হয়। এবং সেখানে পাকিস্তানের অপারেটিভরা ধীরে ধীরে সেসব ছাত্রদের 'মগজ ধোলাই' করে।