‘ইংল্যান্ডে ভারতবিরোধী অনুভূতির কোনও স্থান নেই’ : বরিস জনসন
‘ইংল্যান্ডে ভারতবিরোধী অনুভূতির কোনও স্থান নেই’ : বরিস জনসন
শনিবার লন্ডনে শ্রী স্বামীনারায়ণ মন্দিরে প্রবাসী ভারতীয়দের উদ্দেশে ভাষণ দেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। প্রমুখ স্বামী মহারাজের ৯৮ তম জন্মবার্ষিকীতে এদিন তিনি ইংল্যান্ডে 'হিন্দু-বিরোধী' এবং 'ভারত বিরোধী' মনোভাব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
এই প্রসঙ্গে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এদিন তিনি বলেন "এই দেশে বর্ণবৈষম্য বা এজাতীয় অনুভূতির কোনও স্থান থাকতে পারে না"। সংবাদমাধ্যমে একটি বিশেষ সাক্ষাত্কার দেওয়ার সময় এদিন তিনি জানান এই সমস্ত ক্ষেত্র থেকে আগামীতে ইংল্যান্ডের প্রবাসী ভারতীয়দের রক্ষা করা হবে।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ বর্তমানে দেশের ভারত বিদ্বেষী মনোভাব থেকে আমরা ব্রিটেনে বসববাসকারী ভারতীয় সম্প্রদায়কে রক্ষা করব। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে বিশ্বব্যাপী বিভাজনকারী কুসংস্কার, বৈষম্য, দ্বন্দ্ব গুলি আমরা আমাদের দেশে আমদানি করি না।”
সূত্রের খবর, ব্রিটেনে বসবাসরত ২ শতাংশ ভারতীয় দেশের জিডিপিতে ৬.৫ শতাংশ অবদান রাখেন। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী এদিন ইংল্যান্ডের ভারতীয়দের জন্য নতুন ভিসা বিধি প্রবর্তনের কথাও বলেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নে নথিভুক্ত দেশগুলির অগ্রাধিকারমূলক চিকিত্সার পরিবর্তে ২০২১ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডে অস্ট্রেলিয়ার মতো পয়েন্ট-ভিত্তিক অভিবাসন নীতি চালু করার কথাও এদিন বলেন তিনি।
এই প্রসঙ্গে বরিস জনশন বলেন, “ আমরা সমস্ত দেশের জন্য একই ধরণের অভিবাসন নীতি আনতে চলেছি। কোনও ব্যক্তি ইউরোপীয় ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত দেশের বাসিন্দাই হন বা অন্য কোনও দেশের সকলকে একই চোখে দেখা হবে।” পাশাপাশি ভারতীয় চিকিত্সক, নার্স এবং স্বাস্থ্য কর্মীদের কথা মাথায় রেখে আগামীতে বিশেষ "ফাস্ট-ট্র্যাক ভিসা" প্রকল্প প্রবর্তনের পরিকল্পনার কথাও জানান বরিস জনসন।
জল ছড়ানোর গাড়ির ব্যবহারে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে কলকাতার বায়ুদূষণ