গোটা বিশ্বে ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই আশার আলো দেখাচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা
অ্যাস্ট্রাজেনেকার আশার আলো
করোনার নয়া ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন ক্রমশই আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বিশ্বের ৯৫ টি দেশে নিজের থাবা বসিয়েছে সে। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার আশার বাণী শুনিয়েছিল অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এবার সেই আশারবাণী সত্যি বলে জানালো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়।
অ্যাস্ট্রোজেনেকার দাবি
টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থা অ্যাস্ট্রোজেনেকা দাবি করেছিল, তাদের তৈরি টিকার তিন ডোজের কোর্স কোভিড-১৯-এর নতুন রূপ ওমিক্রনের বিরুদ্ধে যথেষ্ট কার্যকর। অ্যাস্ট্রাজেনেকা অক্সফোর্ডের সঙ্গে মিলিত ভাবে এই নয়া ভ্যাকসিন ভ্যাক্সজেভরিয়া তৈরি করছে। এই ভ্যাকসিনটি ওমিক্রণ এর বিরুদ্ধে শরীরে অ্যান্টিবডি বৃদ্ধি করার কাজ করবে। ভারতে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন কোভিশিল্ড, দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি ভ্যাক্সজেভেরিয়া বাজারজাত করা হচ্ছে। এই সমীক্ষাটি অক্সফোর্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেই করা হচ্ছে বলে খবর।
সমীক্ষায় কী তথ্য উঠে এসেছে?
সমীক্ষায় ডেল্টা সংক্রমনের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পর ডেল্টার বিরুদ্ধে সফল হওয়া গিয়েছে। তৃতীয় ডোজ নেওয়ার একমাসের মধ্যে ফল মিলেছে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ অ্যাস্ট্রাজেনেকার নয়া ভ্যাকসিন ভ্যাক্সজেভেরিয়া নিয়ে করা গবেষণায় দেখা গেছে যে ভ্যাকসিনের তিন-ডোজ কোর্সের পরে, ওমিক্রনের বিরুদ্ধে নিরপেক্ষকরণের মাত্রা দুটি ডোজ পরে ডেল্টার মতোই। পাশাপাশি মোডার্না বা ফাইজারের মত অন্যান্য ভ্যাকসিনের গবেষণায় দেখা গিয়েছে তাদের তৃতীয় ডোজগুলি ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে কিছুটা হলেও বেশি সুরক্ষা প্রদান করে।
কোভিশিল্ডের কার্যকারিতা
ভারতে প্রায় ৮৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়েছে কোভিশিল্ড টিকা। তাই ভারতে কোভিশিল্ডের বুস্টার ডোজ ততটা কার্যকরী হবে না বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রাথমিক ডোজ থেকে আলাদা একটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হলে বুস্টার ডোজ শরীরে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
শিশুদের টিকাদান
করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের সংক্রমণে দ্রুত বৃদ্ধির জন্য ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়া শুরু করেছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে, শুধুমাত্র ১৮ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তিদের টিকা দেওয়া চলছে। কারণ অল্প বয়সীদের ক্ষেত্রে করোনয় আক্রান্ত হওয়ার প্রকোপ খুব কম। অবশ্য কয়েকটি দেশ পরে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের জন্যও টিকা চালু করেছে। কিন্তু টিকা না নেওয়া ব্যক্তি এবং শিশুদের শরীরেও থাবা বসাচ্ছে ওমিক্রন। ফ্রান্স ও নিউইয়র্কে দেখা গিয়েছে বড়দের থেকে ৬ থেকে ১০ বছরের শিশুরা বেশি ওমিক্রন আক্রান্ত হচ্ছে। আর যা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন বিশেষজ্ঞ মহল।
তবে যদি সত্যিই অ্যাস্ট্রোজেনেকা ওমিক্রনের টিকা বাজারে নিয়ে আসে তাহলে তা অত্যন্ত উপকারী হবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।