রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কথা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও শেখ হাসিনার
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। রাষ্ট্র সংঘের শিশুবিষয়ক তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত তিনি।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। রাষ্ট্র সংঘের শিশুবিষয়ক তহবিলের (ইউনিসেফ) শুভেচ্ছাদূত তিনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। সূত্রের খবর অনুযায়ী, কীভাবে দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়, বাংলাদেশের কাছ থেকে তা বিশ্বের শেখার আছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রিয়াঙ্কা।
ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে গত সোমবার বাংলাদেশে গিয়েছেন বলিউড তারকা প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। এরপর তিনি উখিয়ার বালুখালী, জামতলি এবং কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী শরণার্থীশিবির পরিদর্শন করেন। এ ছাড়া নাফ নদীর তীর এবং রোহিঙ্গারা যেসব পথ দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে-সেসব এলাকাও তিনি পরিদর্শন করেছেন।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নৃশংসতার মুখে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে রোহিঙ্গাদের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এত বেশি মানুষের সুযোগ-সুবিধা বাংলাদেশের একার পক্ষে দেওয়া দুরূহ। চুক্তি বাস্তবায়নে মায়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখার কথাও বলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শিগগিরই এক লাখ রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে পাঠানো হবে। সেখানে তাদের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সৌজন্য সাক্ষাতের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর অতিরিক্ত প্রেস সচিব এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছেন। তিনি বলেন, প্রিয়াঙ্কা চোপড়া বলেছেন, একটি প্রজন্ম হারিয়ে যেতে বসেছে। রোহিঙ্গা শিশুরা যথাযথ শিক্ষা পাওয়ার অভাবে চরমপন্থার দিকে ঝুঁকে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, নজরুল ইসলাম আরও বলেন, রোহিঙ্গারা বিপর্যয়ের মধ্যে আছে বলেও মন্তব্য করেন ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত প্রিয়াঙ্কা। প্রিয়াঙ্কা বলেছেন, বাংলাদেশের কাছ থেকে বিশ্বের শেখার আছে যে কীভাবে দুঃস্থ মানুষের পাশে দাঁড়াতে হয়। সমস্যার সমাধান হলে রোহিঙ্গারা যেখান থেকে এসেছে, সেখানে ফেরত পাঠানোর কথাও বলেছেন তিনি।