ব্লাড মুন: চন্দ্রগ্রহণের এই রক্তিম আভা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে কোন কোন কাহিনি প্রচলিত
ব্লাড মুন: চন্দ্রগ্রহণের এই রক্তিম আভা নিয়ে বিশ্ব জুড়ে কোন কোন কাহিনি প্রচলিত
মে মাসে ২০২১ সালের প্রথম গ্রহণ সম্পন্ন হতে চলেছে। চলতি মাসের ২৬ মে এই গ্রহণকাল সম্পন্ন হবে। তবে ভারতের একাধিক জায়গা থেকে এই রক্তবর্ণ চাঁদকে দেখা যাবে না, যে চাঁদ গ্রহণের হাত ধরে রক্তিম আভা মেখে 'ব্লাড মুন' হয়ে উঠবে। রাতের আকাশে চন্দ্রগ্রহণের সময় ব্লাড মুনের বিরল ঘটনা দেখতে পাওয়া নিঃসন্দেহে একটি বড় বিষয়। বিশ্ব জুড়ে এই বিরল দৃশ্য়ের নেপথ্যে একাধিক কাহিনি প্রচলিত রয়েছে দেখা যাক সেই সমস্ত কাহিনি কী বলছে এই ঘটনা ঘিরে।
ব্লাড মুন আসলে কী ?
উল্লেখ্য, চন্দ্রগ্রহণের সময় পৃথিবীর ছায়া পড়ে চাঁদের ওপর। ফলে চাঁদের ওপর থেকে ঢাকা পড়ে যায় সরাসরি সূর্যের আলো। সেই সময় প্রতিসরণের ফলে আলো ঠিকরে চাঁদের অন্ধকার অংশে পড়তেই চাঁদকে লাল দেখায়। আর সেই থেকেই নাম ব্লাড মুন।
রাতের আকাশে রক্ত চাঁদ ও কিছু কাহিনি
বহু সভ্যতা বিশ্বাস করে যে , ব্লাড মুন খুব একটা ভালো শক্তি নিয়ে আসে না। এর উদ্দেশ মোটেও ভালো হয় না। ইনকা সভ্যতার মানুষ মনে করতেন , এই গভীর রক্তবর্ণ চাঁদ আসলে চিতাবাঘের হানার ফলে তৈরি হয়েছে। তাঁদের ধারণা ছিল চাঁদকে রক্তাক্ত করেছে কোনও হিংস্র চিতাবাঘ। তার জন্য রাতের আকাশে ব্লাড মুন দেখলেই তাঁরা বাদ্য বাজাতে শুরু করতেন। যাতে বাঘ পালিয়ে যায়।
রাজাকে হত্যা!
প্রাচীন মেসোপটেমিয়ার সভ্যতা মনে করত যে , এই রক্তবর্ণ চাঁদ আসলে রাজাকে হত্যার বার্তা নিয়ে আসছে। আর চাই ব্লাড মুনের গণনা শুরু করেছিল এই সভ্যতা। যে সময় ব্লাড মুন আসন্ন , তার আগে থেকে মেসোপটেমিয়া সভ্যতার মানুষ তাঁদের রাজার স্থানে আরেকজন রাজাকে বসিয়ে রাখতেন। যাতে আক্রমণকারী ভুল লোকতে নিশানা করে। আর রাজাকে বাঁচানো যায়।
রাহু-গ্রাস
হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী, এই গ্রহম মূলত রাহুগ্রাস। সূর্য ও চন্দ্র মূলত রাহুর গ্রাসে চলে যেতেই চাঁদকে রাতের আকাশে এমন বিরলভাবে দেখা যায় বলে মনে করা হয়। তাই চন্দ্র বা সূর্য গ্রহণের পর স্নানের রীতি প্রচলিত আছে।
২০২১ সূর্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের দিন,ক্ষণ, তারিখ একনজরে
হুপা উপজাতি কী মনে করে?
ক্যালোফোর্নিসার লুইসেনো বা হুপা উপজাতি মনে করে, রক্তাক্ত চাঁদ মানেই সম্ভবত আহত চাঁদ। ফলে কোনও কারণে চাঁদের আঘাত লেগেছে বলে সেখানের সেই সময়ের মানুষ বিশ্বাস করতেন। এরপর চাঁদের ওপর পৃথিবীর ছায়া পড়ার অর্থ হিসাবে তাঁরা মনে করতেন, চাঁদের দুই স্ত্রী চাঁদর সুশ্রুষা করছেন। চন্দ্রগ্রহণের সেই সময় লুইসেনো উপজাতির মানুষ গান গাইতেন।