ব্রিটেন, আমেরিকার রাজনীতিতে প্রভাব ফেলছে বিজেপি! জানুন কী ভাবে
গত কয়েক বছর ধরেই দেখা যাচ্ছে যে আমেরিকা ও ব্রিটেনের মতো দেশগুলির নির্বাচনে রাশিয়ার প্রভাব বাড়ার অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সেই বিতর্ক থামতে না থামতে সেই দেশগুলির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের অভিযোগের তির এবার অন্য একটি দিগে। এবার অভিযুক্ত ভারতের রাজনৈতিক দল, ভারতীয় জনতা পার্টি।
ওভারসিস ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি
সদ্যই এর আঁচ পাওয়া গিয়েছে বির্টেনে। ওভারসিস ফ্রেন্ডস অফ বিজেপির প্রেসিডেন্ট কুলদীপ সিং শেখআওয়াত ব্রিটেনের আসন্ন নির্বাচনে কনজারভেটিভদের সমর্থন করবেন বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন। এর ফলে সেই দেশে থাকা বিজেপির সমর্থকদের অধিকাংশই ভওটদানের সময় প্রভাবিত হবেন। এবং পরোক্ষে বিজেপির সমর্থকদের এই সমর্থনের ফলে প্রভাবিত হবে নির্বাচনের ফল।
দাবি, লেবার ভারত বিরোধী দল
নিজেদের এই সমর্থন জানানোর পিছনে শেখাওয়াত যুক্তি দিয়ে বলেন, "কনজারভেটিভদের বিপরিতে থাকা লেবর পার্টির বিদেশনীতি ভারত বিরোধী। ১৫ অগাস্ট ইন্ডিয়া হাউজের সামনে বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন লেবারের ১৫ জন সাংসদ। হাউস অফ কমনসে কোনও লেবার সাংসদই কাশ্মীর উস্যুতে ভআরতের পক্ষ নিয়ে কথা বলেনি।" এই সমর্থনের ফলে লেবারের বিরুদ্ধে প্রায় ৬ পার্সেন্ট ভোট সুইং হতে পারে যা তাদের ৪০টি আসন হাতছাড়া হওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
লেবারের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপে চলছে প্রচার
ভারতে বিজেপির প্রচারের মতন ব্রিটেনেও এই বিষয়ে হোয়াটসঅ্যাপে প্রচার চলছে। সেই গ্রুপে ব্রিটিশ হিন্দুদের লেবার পার্টির বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। এরকমই একটি মেসেজে লেখা, "লেবার পার্টি এখন পাকিস্তানে মুখপত্র হয়ে গিয়েছে। এটা ভারত বিরোধী, হিন্দু বিরোধী দলে পরিণত হয়েছে। কোনও ভারতীয় যদি লেবার পার্টিকে ভোট দিয়ে আসছেন তারা আসন্ন নির্বাচনে তা করবেন না। কোনও ভআরতীয় লেবারের সদস্য হয়ে থাকলে সেই দল থেকে বেরিয়ে আসুন।"
আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াতেও প্রভাব বিস্তার
এদিকে শুধু ব্রিটেন না, অ্যাটলান্টিকের পারে আমেরিকা, অস্ট্রেলিয় ও নিউজিল্যান্ডেও পরিস্থিতি অনেকটা এরকম। আমেরিকাতে তো হিউস্টে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে ট্রাম্পের হয়ে প্রচার করে এসেছেন। সেখানে হাউডি মোদী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে তিনি সেদেশে থাকা ভারতবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, "আব কি বার ট্রাম্প সরকার।"
মূল কারিগর আরএসএস
এদিকে শুধু বিজেপি নয়। এই রাজনৈতিক মতাদর্শ বদলানের পিছনে বিশাল বড় ভূমিকা রয়েছে আরএসএসের। মনে করা হচ্ছে বিজেপির প্রভাব বিস্তারের মূলে রয়েছে এই সব দেশএ আরএসএসের নেটওয়ার্ক। ভারতের বাইরে নেপালে আরএসএসের বেশ ভালো প্রভাব। তা ছাড়া আমেরিকা, ব্রিটেন ও অস্ট্রেলিয়াতেও আরএসএসের প্রভআব বেশ বড়। এমন কী ২০১৯ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ ভ্রমণগুলিকে নির্বাচনী প্রচার হিসাবে কাজে লাগানো হয়েছে এই প্রভাব বিস্তার করার মাধ্যমে।