প্রতিবেশীর উপরে বিষম খেপে গিয়ে আবাসনের জলের ট্যাঙ্কে মল, মূত্র ত্যাগ করতে শুরু করলেন ভদ্রলোক, তারপর.
প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটির অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই অল্পবিস্তর রয়েছে।
প্রতিবেশীর সঙ্গে ঝগড়াঝাঁটির অভিজ্ঞতা আমাদের সকলেরই অল্পবিস্তর রয়েছে। কিন্তু তাই বলে তাদের প্রতি এমন প্রতিশোধ? কিন্তু তাইওয়ানে এক ৬৯ বছর বয়সী পুরুষ করেছেন এমনই কিছু অভাবনীয় কাণ্ড যাতে প্রতিবেশীদের উপরে নির্মমতর প্রতিশোধ নেওয়া যায়।
'শাংহাইস্ট' ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, তাইওয়ানের তাইচুঙ-এর বাসিন্দা লিন তাঁর প্রতিবেশীদের উপরে বেশ কিছুদিন ধরে বেজায় খাপ্পা ছিলেন। কারণ? টেলিফোন সংস্থার সঙ্গে তাঁর একটি চুক্তি হয়েছিল যে মাসিক ভাড়ার বিনিময়ে তিনি তাঁর বাড়ির একাংশে তাদের সরঞ্জাম রাখতে দেবেন। লিন এব্যাপারে তাঁর প্রতিবেশীদের কিছু জানাননি আর যখন তাঁরা জানতে পারেন এই ব্যাপারে, তাঁরা প্রবল আপত্তি করেন এবং লিন শেষ পর্যন্ত টেলিফোন সংস্থার সঙ্গে তাঁর চুক্তি বাতিল করতে বাধ্য হন। বন্ধ হয় তাঁর বাড়তি রোজগার।
কিছুদিন পরেই কলের জলে বিটকেল গন্ধ আসতে শুরু করে
কিন্তু এর শেষ লিন না দেখে ছাড়েননি। কিছুদিনের মধ্যে লিন তাঁর আবাসনের যে সার্বজনীন জলের ট্যাঙ্ক, তার মধ্যেই মল, মূত্র ত্যাগ করতে শুরু করেন এমনকি স্নানও করেন। কিন্তু তাঁর কাণ্ডকারখানা ধরা পড়ে যায় খুব শিগগিরই। আবাসিকরা কিছুদিন পরেই লক্ষ করেন যে কলের জলে অদ্ভুত গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, এমনকি কয়েকজনের তো এলার্জিও দেখা দেয় শরীরে।
এরপরেই আবাসন কর্তৃপক্ষ সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করেন এবং তাতে বামালসমেত ধরা পড়ে লিন-এর কাণ্ডকারখানা। জুন ২০১৭ থেকে জুলাই ২০১৮ -- এই সময়কালের ফুটেজে দেখা যায় লিন বারবার জলের ট্যাঙ্কের মই বেয়ে উঠছেন।
লিনকে হাজতে পাঠিয়েছে আদালত
ট্যাঙ্কের জল পরীক্ষা করতে পাঠালে দেখা যায় তাতে এমোনিয়ার পরিমান যথেষ্ট বেশি। লিনের বিরুদ্ধে এরপরে মামলা করা হয় এবং আদালত ২০ মাসের জন্যে তাঁকে হাজতে পাঠানোর পাশাপাশি মোটা অঙ্কের জরিমানা (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকা) করে বলেও জানিয়েছে 'শাংহাইস্ট'।