করোনা আক্রান্ত মাইক্রোসফট'এর অন্যতম কর্ণধার বিল গেটস, টুইট করে জানালেন সংক্রমণের কথা
বিগত দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে গোটা বিশ্ব জুড়ে নিজের করাল থাবা বিস্তার করে রেখেছে করোনা। একে একে প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে পৃথিবীর একাধিক দেশে। আর এই মারণ ভাইরাসের প্রভাব থেকে রেহাই পাননি কয়েক কোটি সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে দুনিয়ার তাবড় বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও। আবার করোনা আক্রান্ত হয়ে গত দুই বছরে মৃত্যু বরণ করেছেন বহু বিশিষ্ট। আর এবার এই মারণ ভাইরাস বাসা বাঁধল স্বয়ং বিল গেটসের দেহে।

করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মাইক্রোসফ্টের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। মঙ্গলবার একটি টুইটে স্বয়ং বিশ্ববাসীকে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। এই দিনেই তাঁর করোনা টেস্টের রিপোর্ট পজেটিভ আসে। টুইট করে তিনি লিখেছেন, 'কোভিড টেস্টে আমি পজেটিভ হয়েছি, এবং সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত নিজেকে আইসোলেশনে রেখেছি'। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে সব সময় চিকিৎসকদের সকল পরামর্শ মেনেই সব কাজ করছেন তিনি। পাশাপাশি নিভৃতাবাসে এই মুহূর্তে রয়েছেন বিল গেটস।
পাশাপাশি আরও একটি টুইটে তাঁর সকল চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি লিখেছেন, "আমি ভাগ্যবান যে আমি ভ্যাকসিন, এবং করোনা পরীক্ষায় পজেটিভ আসার পর দুর্দান্ত চিকিৎসা সেবা পেয়েছি"। জানা গিয়েছে বিশ্বের সবথেকে বড় সফটওয়্যারে কোম্পানি মাইক্রোসফট'এর অন্যতম কর্ণধার বিল গেটসের করোনার হালকা লক্ষণ এবং উপসর্গ রয়েছে। এবং তিনি এখন আইসোলেশনে থাকলেও খুব একটা ভয়ের কিছু নেই।
ফের ৩ হাজারের কাছাকাছি দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ, চতুর্থ ওয়েভ নিয়ে নবান্নে বৈঠক মমতার
বিল গেটস বরাবরই করোনা মহামারী প্রশমনের ব্যবস্থা এবং করোনা নিরাময় পরিষেবা দেওয়ার পক্ষে সোচ্চার হয়েছেন। বিশেষ করে আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা দেশগুলির জন্য ভ্যাকসিন এবং ওষুধের অ্যাক্সেস নিয়ে তিনি একাধিক ইতিবাচক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। গত অক্টোবরে গেটস ফাউন্ডেশন জানিয়েছিল যে নিম্ন আয়ের দেশগুলির জন্য ওষুধ প্রস্তুতকারক মার্কের অ্যান্টিভাইরাল কোভিড -১৯ পিলের জেনেরিক সংস্করণগুলিতে অ্যাক্সেস বাড়াতে ১২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে বিল গেটসের সংস্থা, যা খুবই প্রশংসনীয়।