ব্রিকসে মোদী- জিনপিং বৈঠক, মিলল না সীমান্ত সমস্যায় সুরাহা মেলা নিয়ে ধোঁয়াশা
এশিয়ার বৃহত্তম দুই রাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় রাখার অন্যতম ভিত্তি হল সীমান্তে শান্তি। ব্রিকস সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও চিনা প্রেসিডেন্ট ঝি জিনপিংয়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দুই পক্ষই এই মত পোষণ করেছে বলে বৈঠক শেষে জানালেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র এস জয়শঙ্কর। দুই রাষ্ট্রের নাগরিকদের স্বার্থেই দুই রাষ্ট্রকে ভাল সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে বলে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।

তবে সীমান্তের শান্তি নিয়ে আলোচনা হলেও ডোকলাম নিয়ে আলাদা করে কথা হয়নি বলেই জানিয়েছেন বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র। তিনি সাফ জানালেন, আগে কী হয়েছে তা সবারই জানা। পুরনো ঘটনা নিয়ে আলোচনা করতে নয়, বরং সামনের দিকে এগিয়ে যেতেই এই বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। মোদী- জিনপিংয়ের মতে, দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যেও পারস্পরিক সহযোগিতা থাকা উচিত। তবে ব্রিকস সম্মেলনেই সন্ত্রাসদমন নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হওয়ায় এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে আলাদা করে সন্ত্রাস নিয়ে কথা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
Important point made during meeting was peace & tranquility in the border area is prerequisite for further development of relationship: MEA pic.twitter.com/DV5OP1oRGH
— ANI (@ANI) September 5, 2017
অপরদিকে এই বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে বলে টুইট করে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। ব্রিকস সম্মেলনে যে বিষয়গুলি উঠে এসেছে তাও আগামী দিনের জন্য খুবই প্রাসঙ্গিক বলে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। সেইসঙ্গে ব্রিকস সম্মেলনের সাফল্যের জন্য চিনা প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন মোদী।
Met President Xi Jinping. We held fruitful talks on bilateral relations between India and China. pic.twitter.com/hbKRPpRwyl
— Narendra Modi (@narendramodi) September 5, 2017
বৈঠকে পঞ্চশীল চুক্তির পাঁচটি সিদ্ধান্ত মেনেই ভারতের সঙ্গে একযোগে কাজ করা হবে বলে বৈঠক চলাকালীন জানিয়েছেন চিনা প্রেসিডেন্ট ঝি জিনপিং। ১৯৫৪ - পঞ্চশীল চুক্তির পাঁচটি সিদ্ধান্ত হল, একে অপরের সার্বভৌমত্বকে সম্মান, কোনও আগ্রাসন নয়, অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলিতে হস্তক্ষেপ নয়, সহযোগিতা ও শান্তিরক্ষা। এদিকে জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগেই মিশরের প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।