Charles Sobhraj: নেপাল সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এবার কি মুক্তি? কে এই 'বিকিনি কিলার' চার্লস শোভরাজ
নেপালের সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, স্বাস্থ্যগত কারণে ৭৮ বছর বয়সী চার্লস শোভরাজকে মুক্তি দিতে হবে। সে নেপালের জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। শোভরাজের পরিচিতি একজন সিরিয়াল কিলার হিসেবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ
নেপালের সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, স্বাস্থ্যগত কারণে ৭৮ বছর বয়সী চার্লস শোভরাজকে মুক্তি দিতে হবে। সে নেপালের জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত। শোভরাজের পরিচিতি একজন সিরিয়াল কিলার হিসেবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে এক ডজনেরও বেশি খুনের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। কিন্তু চার্লস শোভরাজ একটা সময়ে বহু আলোচিত ছিল। একবার তার পরিচিতি দেখে নেওয়া যাক।
চার্লস শোভরাজ ১৯৪৪ সালে ভিয়েতনামে জন্মগ্রহণ করে। সো ছিলেন ভারতীয় পিতা ও ভিয়েতনামী মাতার পুত্র। কম বয়সে সে ফ্রান্সে চলে যায়। সেখানে ছোটখাটো চুরি, জালিয়াতি-সহ অপরাধমমূলক কাজে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৭০-এর দশকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় হত্যা ছাড়াও নানা গুরুতর অপরাধে তার নাম জড়ায়। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে সে যাদেরকে হত্যা করেছিল, তাদের বেশিরভাগই ছিল মাদকাসক্ত।
শোভরাজ যেসব অপরাধ করত, তা নিজের আশপাশের লোকদের দিয়ে চালনা করত। যাঁদেরকে সে হত্যা করত, তাঁদের লোভের ফাঁদে ফেলত। থাইল্যান্ড ছাড়াও নেপাল ও ভারতে তার নিশানায় ছিল ব্যাকপ্যাকাররা। তাঁদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে তাঁদের জিনিসপত্র চুরি করত। কিছু কিছু ক্ষেত্রে সে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে, যাদেরকে বিকিনি পরা অবস্থায় পাওয়া যায়। তাই তাকে বিকিনি কিলার উপাধি দেওয়া হয়েছিল।
১৯৭৬ সালে নয়াদিল্লির অশোকা হোটেলে ধারাবাহিক খুন ও চুরির ঘটনায় ধরে পড়ে। সেই সময় তাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৮৬-তে তিহার জেলে নিরাপত্তারক্ষীদের মাদকাসক্ত করে পালিয়ে যায়। যদিও পরে গোয়ায় গিয়ে ধরা পড়ে যায়। ১৯৯৭ সালে ছাড়া পেয়ে শোভরাজ প্যারিসে যান। ২০০৩ সালে নেপালে গেলে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকেই কাঠমান্ডুর জেলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সে।
নেপালে মার্কিন পর্যটক কনি জো ব্রোঞ্জিচকে হত্যার অভিযোগে ১৯৭৫ সালে শোভরাজকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। প্রায় একদশক পরে ব্রোঞ্জিচের সঙ্গীকেও হত্যার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। সেই মামলাতেই গত ১৯ বছর ধরে জেলবন্দী চার্লস শোভরাজ। শোভরাজকে নিয়ে ইতিমধ্যে অসংখ্য বই প্রকাশিত হয়েছে। হয়েছে তথ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্রও। হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করার পরে সরীসৃপের মতো করে মসৃণ পথে পালাত সে। যে কারণে তার নাম হয়ে গিয়েছিল দ্য সারপেন্ট।
এদিন নেপালের সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে শোভরাজকে মুক্তি দিয়ে গেশে ফেরার বন্দোবস্ত করতে হবে। আদালতে করা আবেদনে শোভরাজ জানায় সে ইতিমধ্যেই অধিকাংশ সময় কাটিয়েছে।
Covid Guidelines: কোভিড বাড়তে থাকায় কেন্দ্রের নির্দেশিকা! বিমানবন্দরে ফের শুরু হয়ে গেল পরীক্ষা