করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু অক্সফোর্ডের, গুরুদায়িত্ব বাঙালী গবেষকের কাঁধে
করোনা প্রতিষেধকের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু অক্সফোর্ডের, গুরুদায়িত্ব বাঙালী গবেষকের কাঁধে
করোনা প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন হাজার হাজার বিজ্ঞানীর দল। এই কঠিন সঙ্কটে প্রাণগাতী করোনাকে ঠেকাতে আংশিক সাফল্য মিলতে শুরু করেছে একাধিক ক্ষেত্রে।
গত সপ্তাহেই মানুষের উপর নমুনা পরীক্ষা
এদিকে আপাতত আশা দেখাচ্ছেন লন্ডনের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। গত বৃহষ্পতিবার থেকেই সেখানে শুরু হয়েছে মানবদেহে পরীক্ষা-নিরীক্ষা। বিজ্ঞানীদের আশা সেপ্টেম্বরের মধ্যেই মিলবে ফল। সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে ৮০০ জন স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে দুজনের শরীরে প্রয়োগ করা হয় ChAd0x1 nCoV-19 নামের এই প্রতিষেধক। সাফ্যলে এলে প্রাণঘাতী করোনা প্রতিরোধে এটাই হতে মানুষের সম্ভাব্য অস্ত্র।
করোনা ভ্যাকসিন আবিস্কারে এবার বাঙালী যোগ
এবার এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক দলের অন্যতম কাণ্ডারী হিসাবে দেখা গেল এক বাঙালীকে। সূত্রের খবর, বর্তমানে ওই গবেষক দলের ভ্যাকসিনের গুণমাণ বিভাগের অন্যতম ব্যবস্থাপক হিসাবে কাজ করছেন জন্মসূত্রে কলকাতার বাসিন্দা চন্দ্রা দত্ত। জীবনের প্রথমার্থে গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল থেকে থেকে তিনি তাঁর প্রাথমিক পড়াশোনার পাঠ শেষ করেন এই বাঙালী গবেষক।
২০০৯ সালে বিলেত পাড়ি দেন চন্দ্রা
এরপর তিনি তিনি কলকাতার হেরিটেজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োটেকনোলজিতে বি.টেক শেষ করেন। পরবর্তীকালে বায়োসায়েন্সে স্নাতোকোত্তর করার জন্য ২০০৯ সালে পাড়ি দেন ইংল্যান্ড। পড়াশোনার পাঠ শেষ করে এর পর তিনি জিএসকে, সেনজার নামে একটি স্টার্টআপ এবং অ্যাপটুইট নামের একটি ফার্মাসিতেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। এরপর তিনি বর্তমানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল বায়ো-ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিটে কর্মরত রয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।