চিনকে বিশ্বমঞ্চে তুলোধনা করে ছাড়ল ভারত! ব্রিকসের আগে রাষ্ট্রসংঘের আঙিনায় চড়ল পারদ
লাদাখ আবহে গত ১০ দিনে এই নিয়ে পর পর মোদী , জিনপিং ভার্চুয়ালি মুখোমুখি হচ্ছেন। আজ ব্রিকস সামিটে দুই রাষ্ট্রনেতার মুখোমুখি হওয়া নিয়ে পারদ চড়েছে। এদিকে, তার আগে ৭৫ তম রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় চিনের বিস্তারবাদকে টার্গেটে রেখে প্রবল কার্যত বেজিংকে বিশ্ব আঙিনায় তুলধোনা করল দিল্লি।

নিরাপত্তা পরিষদকে রেয়াত করেনি দিল্লি!
এদিন রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় ভারতের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেন টি এস তিরুমূর্তি। তিনি চাঁচাছোলা ভাষায় বলেন, ' বর্তমানের নিরাপত্তা পরিষদ মূলত একটি প্রতিবন্ধী অংশ। ' এই বার্তা দিয়েই তিনি স্পষ্ট করেন নিরাপত্তা পরিষদের উদাসিনতা প্রতিষ্ঠানের কার্যকারিতার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে। এছাড়াও তিনি আন্তঃসরকার সমঝোতার প্রক্রিয়া নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন।

চিনকে টার্গেট
এদিন কার্যত চিনকে টার্গেটে রেখে তিরুমূর্তি বলেন,ইন্টার গভরনমেন্টাল নিগেশিয়েশন বা আন্তঃসরকার সমঝোতার প্রক্রিয়াটিতে শুধুমাত্র বক্তব্য শোনা হয় এই মঞ্চে। আর এটা এতটাই অসংগঠিত যে এই বিষয়ে কোনও কার্যকরী পদক্ষেপও গৃহিত হয় না। প্রসঙ্গত, ছোট ও মাঝারি ধরনের দেশগুলির উন্নয়নের ধারাকে যেভাবে চিন বারবার রুখে দিচ্ছে নিরাপত্তা পরিষদে থেকে, তার সমালোচনায় মুখর হয় ভারত।

বিশ্ববিদ্যালয়স্তরের একটি বিতর্কসভা!
এদিন ,আন্তঃসরকার সমঝোতার প্রক্রিয়াটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্তরের বিতর্কসভা বলে আখ্যা দেন তিরুমূর্তি। তিনি বলেন, সমস্ত পদ্ধতিতে একটি সংগঠতি ভাবনার অভাব রেয়েছে এখানে। ফলে নথির গুরুত্ব এখানে নেই।

'কয়েকটি দেশ' কে টার্গেট
এদিন বিশ্বমঞ্চে তিরুমূর্তি সাফ জানান, 'কয়েকটি দেশের' জন্য আন্তঃসরকার সমঝোতার রাস্তাটি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তারা এই উন্নয়নের রাস্তায় ধোঁয়াশা তৈরি করছে বলে নাম না করে চিনকে এদিন টার্গেট করে ভারত। লাদাখ সংঘাতের আবহে যে বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
