কামানো যাবে না দাড়ি, ফের নতুন ফতোয়া জারি আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের
কামানো যাবে না দাড়ি, ফের নতুন ফতোয়া জারি আফগানিস্তানের তালিবান সরকারের
কাবুলের মসনদে বসার পর থেকেই একের পর এক ফতোয়া জারি করে চলেছে তালিবানেরা। সবথেকে বেশি কোণঠাসা করা হচ্ছে মেয়েদের। একপ্রকার তাদের গৃহবন্দিই করে ফেলেছে তালিব সরকার। পোশেকের উপরেও জারি হয়েছে ফতোয়া। এবার রেহাই পাচ্ছে না পুরুষেরা। নতুন ফতোয়া অনুযায়ী এখন থেকে আর দাড়ি কাটতে বা ছাটতে পারবেন না সেদেশের পুরুষেরা।
নাপিতদের হুঁশিয়ারি তালিবানদের
ইতিমধ্যেই আফগানিস্তানের হেলমন্দ প্রদেশের সেলুনে গিয়ে নাপিতদের শাসাতেও শুরু করেছে তালিবরা। শীঘ্রই গোটা দেশে লাঘু হতে চলেছে এই আইন। এমনকী হেলমন্দের বিভিন্ন জায়দায় এই বিষয়ে পোস্টারও লাগিয়ে দিয়েছে নবগঠিত সরকার। এমনকী সমস্ত নাপিতদের নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে তাঁদের অবশ্যই চুল এবং দাড়ি কাটার সময় শরিয়া আইন মেনে চলতে হবে।
ধরা পড়লেই কড়া শাস্তি
এরপরও যদি কোনও ব্যক্তি বা নাপিত এই কাজ করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন তাহলে তাদের জন্য কড়া শাস্তির বিধানও দেওয়া হচ্ছে। তালিবানদের দাবি ইসলামিক আইন মেনেই এই নয়া সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদিও এবার তালিবানিদের পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিলো আগেকার মধ্যযুগীয় খোলস ছেড়ে তারা নতুন উদ্যোমে মানুষের পাশে থাকবে।কিন্তু দিন যত গড়াচ্ছে ততই ঘনাচ্ছে আশঙ্কার মেঘ। এই ধরণের ফতোয়া ক্রমশ বাড়তে থাকায় মনে করা হচ্ছে তালিবানিদের ২০ বছরের আগের পূর্ববর্তী শাসনের মতই এবারেও আবার সেই একই পথেই ফিরছে নবগঠিক তালিব সরকার।
আর করা যাবে না আমেরিকান স্টাইল
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ তালিবানিদের প্রথমবারের শাসনকালে কট্টরপন্থী ইসলামীরা ফ্ল্যামবয়েন্ট হেয়ারস্টাইল এবং দাড়ি কাটা নিষিদ্ধ করেছিল। এবারও সেই একই পথ অনুসরণ করছেন সকলে। সম্প্রতি হেলমন্দ প্রদেশের সবথেকে বড়ো সেলুনের মালিক জানিয়েছেন, তাঁকে সম্প্রতি ফোন করে শাসায় তালিবানেরা। এমনকী স্পটতই জানানো হয় এখন থেকে চুল দাড়ি কাটার সময় আর করা যাবে না আমেরিকান স্টাইল।
নিয়োগ করা হয়েছে গুপ্তচরও
এদিকে শুধু হেলমন্দেই নয়, রাজধানী শহর কাবুলের নাপিতেরাও একই হুমকি-কল পেয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে ঠিক করে এই ফতোয়া মানা হচ্ছে কিনা তা দেখভালের জন্য গুপ্তচরও নিয়োগ করা হয়েছে তালিবানদের তরফে। অন্যদিকে তালিবানদের এই নয়া ফতোয়া নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। তুমুল চর্চা চলছে আন্তর্জাতিক মহলেও।