বিদ্রোহী কবির ১১৫তম জন্মবার্ষিকী পালিত সারা দেশে
রবিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন কয়েক হাজার মানুষ। হাজির ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। তা ছাড়াও কবির নাতনি খিলখিল কাজী ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর, প্রাক্তন পররাষ্ট্র মন্ত্রী দীপু মণি, বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রমুখও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় কবিকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা নজরুলগীতি পরিবেশন করেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও কবির জন্মদিন উপলক্ষে বার্তা দিয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, "আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় নজরুল ইসলামের আগুনঝরা কবিতা ও গান অনন্ত প্রেরণার উৎস ছিল। আজও যখন গণতন্ত্র ও মানবতা বিপন্ন হয়ে পড়ে, আমরা সাহস সঞ্চয় করি বিদ্রোহী কবির কবিতার ছন্দ থেকে।"
কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী কবির জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান। বলেন, "শুধু জন্ম আর মৃত্যুবার্ষিকীতেই কবিকে স্মরণ করা হয়। তাঁকে জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হলেও গান, নাটক, সিনেমা কোথাও-ই তিনি নেই। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনেরও এক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করা দরকার।"
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও বাংলাদেশ শিল্পকলা আকাদেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, ছায়ানট, নজরুল আকাদেমি, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সরকারের তরফে একটি স্মরণিকা প্রকাশ করা হয়েছে। ঢাকা ছাড়াও যশোর, খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, বরিশাল ইত্যাদি জায়গাও সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে কবির জন্মবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।
১৮৯৯ সালের ২৫ মে বর্ধমান জেলার চুরুলিয়াতে কাজী নজরুল ইসলাম জন্মগ্রহণ করেন। দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে বড় হওয়ার জন্য তিনি 'দুখু মিঞা' হিসাবে পরিচিত হন। তাঁর রচনাগুলি আজও বাঙালির কাছে পরম সম্পদ। ১৯৭৬ সালের ২৯ অগস্ট ঢাকায় তিনি প্রয়াত হন।