গরমে পুড়ছে সারা দেশ, নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টির সম্ভাবনা
সারা দেশে এখন এমনই ছবি। গত দু'সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা। বৃষ্টির আশায় চাতক পাখি হয়ে বসে আছেন মানুষজন। বৃষ্টির অভাবে মারাত্মকভাবে মার খাচ্ছে চাষের কাজ। জমি ফেটে চৌচির হয়ে গিয়েছে। পুকুর, নদীনালা সব শুকিয়ে কাঠ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেটের রোগীর সংখ্যা। হাসপাতালগুলি তাই ভিড়ে একাকার।
এদিকে, বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৫৪ বছরের রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। বুধবার চুয়াডাঙায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ১৯৬০ সালে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল। চুয়াডাঙার মতোই অন্যান্য জায়গাতেও পারদ চড়েছে। রাজশাহীতে ৪২.৬ ডিগ্রি, ঈশ্বরদীতে ৪২.২ ডিগ্রি, খুলনায় ৩৯.২ ডিগ্রি, সাতক্ষীরায় ৩৮.৮ ডিগ্রি, যশোরে ৪১ ডিগ্রি এবং মংলায় ৩৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকাতেও এখন তাপমাত্রা উঠেছে ৩৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে, আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ কেন্দ্রীভূত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ন'টা নাগাদ এটি চট্টগ্রাম থেকে ৬৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার থেকে ৫৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং মংলা থেকে ৬৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল বলে আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে। যত সময় যাবে, এটি ক্রমশ দেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসবে। নিম্নচাপের ফলে বাতাসের গতিবেগ হবে ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা বেড়ে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছতে পারে। এ জন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা বন্দরে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। মৎস্যজীবীদের গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। তা ছাড়া, উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
এপার বাংলার মতো ওপার বাংলাতেও অর্থাৎ পশ্চিমবাংলায় তাপপ্রবাহ চলছে। বৃষ্টির নামগন্ধ নেই। ওখানকার মানুষেরও হাঁসফাঁস অবস্থা।