নুর হোসেনের প্রত্যর্পণ চেয়ে ভারতকে আর্জি ঢাকার
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ থেকে সাতজনকে অপহরণ করা হয়েছিল। তিনদিন পর ৩০ এপ্রিল তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নুর হোসেন। সে পালিয়ে গিয়ে কলকাতার বাগুইআটিতে গা-ঢাকা দিয়েছিল। ১৪ জুন কলকাতা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে বাগুইআটির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপার্টমেন্ট থেকে। নুর হোসেনের সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় তার আরও দুই সঙ্গীকে। ১৫ জুন তাদের আদালতে পেশ করা হলে আটদিনের জেল হেফাজত হয়।
মন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম বলেছেন, হস্তান্তরের কাজ ত্বরান্বিত করতে ভারত নুর হোসেনের ব্যাপারে কিছু তথ্য জানতে চেয়েছে। তা যথা দ্রুত সম্ভব নয়াদিল্লিকে জানানোর চেষ্টা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নুর হোসেনকে ফিরিয়ে আনতে যেহেতু কিছুদিন সময় লাগবে, তাই তাকে ভারতে গিয়ে জিজ্ঞসাবাদ করার কথা ভাবা হচ্ছে। আগামী ৯ জুলাই নারায়ণগঞ্জে খুনের মামলার অগ্রগতি নিয়ে হাই কোর্টে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তার আগেই নয়াদিল্লির অনুমতি নিয়ে ভারতে গিয়ে নুর হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত বলে মনে করছে সরকার।
প্রসঙ্গত, কলকাতার বাগুইআটির যে ফ্ল্যাট থেকে নুর হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, সেই একই ভবন থেকে ২০১২ সালে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্ত্রাসবাদী সুব্রত বাইনকে। একই স্থান থেকে দুই হাই-প্রোফাইল অপরাধী গ্রেফতার হওয়ায় এই সন্দেহ এখন দানা বেঁধেছে যে, ওই ফ্ল্যাটের মালিকের সঙ্গে বাংলাদেশের অপরাধ জগতের যোগাযোগ রয়েছে। তাই বাড়ির মালিক সীমা সিংকে এখন খুঁজছে কলকাতা পুলিশ। সীমা সিং গড়িয়াতে একটি ফ্ল্যাটে স্বামীকে নিয়ে থাকেন। আর ইন্দ্রপ্রস্থ আবাসনের ফ্ল্যাটটি ভাড়া দেন। পুলিশ সূত্রে খবর, শুধু সুব্রত বাইন ও নুর হোসেন গ্রেফতার হওয়ায় সব জানাজানি হয়েছে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরেই এই ফ্ল্যাটটি ব্যবহার করে আসছে বাংলাদেশের অপরাধীরা। তারা এখানে আসে নানা দরকারে, কিছুদিন থাকে আবার গা-ঢাকা দেয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, "আমরা এ দেশের অপরাধীদের ব্যাপারে সাধ্য মতো তথ্য দিয়েছি ভারতকে। কিন্তু ওরা অনেক সময় গড়িমসি করে। এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করার নেই।"