ঢাকায় মেট্রোরেলের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
এক দশক আগে নেয়া এই প্রকল্পটির আংশিক এবং সীমিত আকারে চালু হলো। মতিঝিল পর্যন্ত এর বাকী অংশ আগামী বছরে শেষ করার আশা করলেও কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশ মিলিয়ে প্রকল্পটি পুরোপুরি শেষ করতে ২০২৫ সাল হতে পারে।
বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়েছে বুধবার দুপুরে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন এবং উদ্বোধনী অনুষ্ঠারে পর স্টেশন থেকে সবুজ পতাকা উড়িয়ে প্রথম ট্রেনটির যাত্রার সূচনা করেন।
প্রথম ট্রেনটি চলে যাওয়ার পর তিনি সবুজ পতাকাটিতে স্বাক্ষর করেন। এরপর দ্বিতীয় ট্রেনটিতে করে প্রধানমন্ত্রী ও অন্য অতিথিদের দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁওয়ে নিয়ে যায়।
তবে এক দশক আগে নেয়া এই প্রকল্পটির আংশিক এবং সীমিত আকারে চালু হলো। মতিঝিল পর্যন্ত এর বাকী অংশ আগামী বছরে শেষ করার আশা করলেও কমলাপুর পর্যন্ত বর্ধিত অংশ মিলিয়ে প্রকল্পটি পুরোপুরি শেষ করতে ২০২৫ সাল হতে পারে।
অন্যদিকে এর বাইরেও আরও বেশ কয়েকটি মেট্রো লাইন তৈরি প্রকল্প নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার, যা পুরোপুরি কার্যকর হলে ঢাকার ভয়াবহ যানজটের সমাধান হবে বলে তারা আশা করছে।
মেট্রোরেল-৬ এর আংশিক উদ্বোধন উপলক্ষে দিয়াবাড়ীতে সুধী সমাবেশের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকেট প্রকাশ করেছে ডাক বিভাগ আর কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রকাশ করেছে পঞ্চাশ টাকার স্মারক নোট।
সুধী সমাবেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদা পেয়েছে এবং মেট্রোরেলের মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রার মুকুটে নতুন পালক সংযুক্তি হলো যা কমলাপুর পর্যন্ত সংযোজিত হবে।
তিনি বলেন ২০৩০ সালের মধ্যে মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক পুরোপুরি নির্মাণ সম্পন্ন হলে যানজটের নিরসন হবে এবং সবাই নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।
প্রসঙ্গত, সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী মোট ছয়টি মেট্রোরেল রুটের নির্মাণ কাজ ওই সময়ে শেষ হওয়ার কথা। এর মধ্যে পাতাল রেলের পরিকল্পনাও আছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন মেট্রোরেলের মাধ্যমে প্রযুক্তিগত দিক থেকে বাংলাদেশ চারটি মাইলফলক স্পর্শ করেছে ।
“একটি হলো মেট্রোরেল নিজেই। আর এই প্রথম বাংলাদেশ বৈদ্যুতিক ট্রেনের যুগে প্রবেশ করেছে এবং এটি দূর নিয়ন্ত্রিত প্রযুক্তি দ্বারা পরিচালিত। এছাড়া এর মাধ্যমে দ্রুত গতি সম্পন্ন ট্রেনের যুগে পদার্পণ করলো। এর গতি প্রতি ঘণ্টায় ১১০ কিলোমিটার”।
তিনি বলেন মেট্রোরেল নেটওয়ার্ক নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য বিদেশীদের উপর নির্ভর করতে হবে না।
“আমরা নিজেরাই দক্ষ জনশক্তি তৈরি করবো এবং এর শব্দ ও কম্পন দূষণ মানদণ্ডের নিচে থাকবে”।