বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ, উন্নয়নশীল শিরোপায় এগিয়ে চলার ডাক হাসিনার
বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তাঁরই মেয়ে শেখ হাসিনার শাসনকালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেল।
বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হল বাংলাদেশ। আর স্বল্প উন্নয়নের দেশ নয়, এবার বাংলাদেশ হল উন্নয়নশীল দেশ। বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেনের হাতে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যোগ্যতা অর্জনের শংসাপত্র তুলে দেয় রাষ্ট্রপুঞ্জের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি। আর এই লক্ষ্যপূরণে বাংলাদেশের হাসিনা সরকার যার পর নাই খুশি হয়ে উৎসব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান বাংলাদেশকে ক্ষুধা, দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সেই স্বপ্ন তিনি পূরণ করে যেতে পারেননি। এতদিন পর তাঁরই মেয়ে শেখ হাসিনার শাসনকালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেল। আর তা এল বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনেই। শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য নিবেদন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা লক্ষ্যপূরণ করতে পেরেছি। বাংলাদেশকে আর পিছিয়ে রাখা যাবে না।'
হাসিনা এদিন আরও বলেন, 'বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান যে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই স্বপ্নপূরণের প্রথম ধাপ হল উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে স্বীকৃতি। এবার আর বাংলাদেশকে থামিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশ এবার তরতরিয়ে এগিয়ে চলবে। বিভিন্ন সূচকের নিরিখে বাংলাদেশের এই উত্তরণ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। এবার আমরা ধীরে ধীরে উন্নত দেশ হওয়ার দিকে এগোব।'
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সূচকের নিরিখে বিভিন্ন দেশকে তিনটি তালিকায় ভাগ করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। তা হল- উন্নত দেশ, উন্নয়নশীল দেশ ও স্বল্পোন্নত দেশ। বাংলাদেশ এতদিন ছিল স্বল্পোন্নত দেশের তালিকায়। সেই তালিকা থেকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হল। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের সূচকের মধ্যে যে কোনও দুটিতে নির্দিষ্ট মানে পৌঁছলেই উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় উত্তরণ হয়।
বাংলাদেশ সেই নির্দিষ্ট সূচকে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে শেখ হাসিনার শাসনকালে। বাংলাদেশ তিনটি সূচকেই নির্দিষ্ট মান অতিক্রম করেছে। এই স্বীকৃতিলাভের পর বাংলাদেশ সরকার উৎসব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ২২ মার্চ ঢাকায় উৎসব পালন করবে বাংলাদেশ সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এদিন শংসাপত্র পেলেও বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে পূর্ণ সনদ পেতে ২০২৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
তার কারণ, বাংলাদেশ সরকার এই উন্নয়ন সূচক ধরে রাখতে সক্ষম হয় কি না, তার পরীক্ষা দিতে হবে ছ-বছর ধরে। এদিন মায়ানমার ও লাওসও প্রথমবার যোগ্যতা অর্জন করেছে। ভুটান, সাও তোমে ও সলোমন দ্বীপপুঞ্জ দ্বিতীয়বারের মতো যোগ্যতা অর্জন করায় এই তালিকায় অন্তর্ভুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।