ভারত নয় আর্থিক সমৃদ্ধিতে এগোচ্ছে বাংলাদেশ, বলছে রিপোর্ট
দেশকে আর্থিক সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে দেওয়া নিয়ে যতই আস্ফালন করুন না কেন মোদী বাস্তবে যে হাঁড়ির হাল দশা হচ্ছে দেশের সেটা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।
দেশকে আর্থিক সমৃদ্ধির শিখরে পৌঁছে দেওয়া নিয়ে যতই আস্ফালন করুন না কেন মোদী বাস্তবে যে হাঁড়ির হাল দশা হচ্ছে দেশের সেটা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিকে আর্থিক সমৃদ্ধির দিক থেকে ভারতে পিছনে ফেলে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। এশিয়া ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সমীক্ষা বলছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের আর্থিক বিকাশ এখন গড়ে ৭ শতাংশ। এবং ২০১৯-২০ আর্থিক বর্ষে সেই আর্থিক সমৃদ্ধির হার ৮ শতাংশে পৌঁছে যাবে।
আর সেদিকে ভারত ক্রমশ পিছোচ্ছে। আর্থিক সমৃদ্ধির হার সাত শতাংশ থেকে কমে ৫ শতাংশে এসে পৌঁছেছে। লাগাতার শেয়ার বাজারের পতন। তার উপরে বেড়ে চলা ঋণের বোঝায় ক্রমশ জর্জরিত হয়ে পড়েছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দেশকে ৫ ট্রিলিয়ন অর্থনীতির দেশে পৌঁছে দেওয়ার মোদীর প্রতিশ্রুতি শুধু অসম্ভবই নয় অলিক কল্পনা ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না।
এশিয়া ডেভলপমেন্ট ব্যাঙ্কের সমীক্ষা বলছে ২০১৬ সাল থেকে ৭ শতাংশ হারে আর্থিক সমৃদ্ধির পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি আর্থিক বর্ষে সেই সমৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ হয়ে যাবে। বাংলাদেশের এই আর্থিক সমৃদ্ধির অন্যতম কারণ শিল্পক্ষেত্রে উন্নয়ন। শিল্পের দিক থেকে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে পোশাক এবং হোসিয়ারি শিল্পে বাংলাদেশ অনায়াসে পিছনে ফেলে দিতে পারে বিশ্বের তাবর দেশকে। ভারত সেতুলনায় একেবারেই নগন্য।
[বিক্ষোভ আর প্রশ্নের মুখে মেজাজ হারালেন নীতীশ! পাটনার সঙ্গে জুড়লেন আমেরিকাকে ]
শিল্পের প্রসারের কারণেই কর্মসংস্থাও বাড়ছে বাংলাদেশে। যার কারণে জিডিপি বৃদ্ধিও বাড়ছে। অন্যদিকে দেখা যাচ্ছে ভারতে একটি বিশাল সংখ্যক মানুষ কৃষিতে আটকে রয়েছে। যার জেরে কর্মসংস্থানেও ঘাটতি দেখা দিয়েছে।