লকডাউন: দোকানপাট খোলা রেখেই চলমান বিধিনিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়াতে যাচ্ছে সরকার
অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। শপিংমল রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। আগামীকাল আসছে প্রজ্ঞাপন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলাচলে বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশের সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বিবিসিকে জানিয়েছেন একথা।
আগামীকাল এই বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে বলেও তিনি জানান।
''এই সময় অফিস-আদালত ও গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। তবে শপিংমল রাত আটটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। হোটেল-রেস্তোরার ক্ষেত্রে আগের নিয়ম বহাল থাকবে। বিমান চলাচলের ক্ষেত্রে আগের যে সিদ্ধান্ত ছিল, সেটাই থাকবে।'' বিবিসিকে বলেন মি. হোসেন।
সব কিছু খোলা থাকার পরেও এভাবে বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করে কি লাভ হবে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ''ভারতে করোনাভাইরাসের যে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞরা আরও কিছুদিন বিধিনিষেধ বহাল রাখার পরামর্শ দিয়েছেন। সেই পরামর্শ আমলে নিয়ে সরকার আরও এক সপ্তাহ বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে।''
বাংলাদেশে গত পাঁচই মে থেকে এক সপ্তাহের জন্য চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করে বাংলাদেশের সরকার। পরবর্তীতে আরও দুই দফায় সেই মেয়াদ বাড়ানো হয়। এবার তৃতীয়বারের মতো বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
আরো পড়তে পারেন:
লকডাউন অকার্যকর হলে সেনাবাহিনী ও কারফিউর পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
শপিংমল ও গণপরিবহন চালু হলে কী সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়বে?
'কঠোর লকডাউন' শুরু, ঢাকার রাস্তায়-রাস্তায় পুলিশের চেকপোস্ট
লকডাউনে বাড়ির বাইরে বের হতে যা করতে হবে
বাংলাদেশে চলাচলে বিধিনিষেধ থাকার পরেও রোববার থেকে শপিংমল খুলে দেয়া হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল চালু করা হয়েছে।
শুধুমাত্র গণপরিবহন, দূরপাল্লার যানবাহন ও নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বাংলাদেশে গত বছরের মার্চের ৮ তারিখে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছিলো স্বাস্থ্য বিভাগ।
এরপরের দুই মাস দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা তিন অংকের মধ্যে থাকলেও সেটা বাড়তে বাড়তে জুলাই মাসে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়।
এরপর বেশ কিছুদিন দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা কমতে কমতে এক পর্যায়ে তিনশোর ঘরে নেমে এসেছিল।
বাংলাদেশে গত ১০ দিনের মধ্যে অন্তত পাঁচদিন প্রতিদিন একশো জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে, মোট মৃত্যু ১১ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে, এ পর্যন্ত বাংলাদেশে মোট শনাক্ত হলেন ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৬২৮ জন।
বিবিসি বাংলার অন্যান্য খবর:
যে শহরে শ্বাস নিতে পারাই এখন বিলাসিতা
শুধু ভারত থেকে করোনাভাইরাসের টিকা আনার সিদ্ধান্ত কতটা ঠিক ছিল?
দুই সপ্তাহের জন্য বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যাতায়াত বন্ধ
বাংলাদেশে কাল থেকে করোনাভাইরাসের প্রথম ডোজের টিকাদান বন্ধ
করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরনটি আসলে ঠিক কী?