For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

লকডাউন: এবার দোকানপাট ও শপিং মল খোলার অনুমতি দিলো সরকার

  • By Bbc Bengali

শুক্রবার থেকে খুলবে দোকানপাট
Getty Images
শুক্রবার থেকে খুলবে দোকানপাট

বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আজ (বৃহস্পতিবার) এক প্রজ্ঞাপনে বলেছে কাল থেকে দোকানপাট ও শপিংমল সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে।

তবে এ সময় স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন না করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিতে সোমবার থেকে যে 'লকডাউন' শুরু হয়েছে বাংলাদেশে শুরু থেকেই তার বিরোধিতা করছিলো ব্যবসায়ীরা।

দেশের বেশ কিছু জায়গায় এনিয়ে দোকানি ও ব্যবসায়ীদের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

তবে এবারের লকডাউন শুরুর আগে সরকার বলেছিলো যে দূরপাল্লাসহ সকল গণপরিবহনের চলাচল বন্ধ থাকবে।

কিন্তু পরে সে সিদ্ধান্ত থেকেও সরে আসে সরকার এবং এখন শুধু দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ আছে।

অবশ্য এবার লকডাউন দেয়া হলেও আগেই জানানো হয়েছে জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার ও খাবারের দোকান লকডাউনের সময় খোলা থাকবে।

সেইসঙ্গে গার্মেন্ট ও অন্যান্য শিল্প-কারখানাগুলো লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে।

বিবিসি বাংলায় আরও পড়ুন:

মসজিদে জামায়াতে নামাজ আদায়ে বাংলাদেশ সরকারের ১০ নির্দেশনা

বাংলাদেশে লকডাউন 'অকার্যকর' হয়ে পড়ছে

বাংলাদেশে সোম অথবা মঙ্গলবার থেকে এক সপ্তাহের 'লকডাউন'

যে পাঁচটি কারণে ভেঙে পড়লো বাংলাদেশের 'লকডাউন'

দোকানপাট খুলে দেয়ার দাবি করছিলো ব্যবসায়ীরা
BBC
দোকানপাট খুলে দেয়ার দাবি করছিলো ব্যবসায়ীরা

এসব কারণে বিশেষজ্ঞরা শুরু থেকে একে আংশিক লকডাউন আখ্যায়িত করে এর কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন।

এর মধ্যে শহরে যান চলাচল শুরু হলে কার্যত ভেঙ্গে পড়ে লকডাউন এবং স্বাভাবিক হয়ে ওঠে সবকিছু।

এর মধ্যে আবার আজ দোকানপাট ও শপিং মলও খুলে দেয়ার অনুমতি দেয়া হলো।

এর আগে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার ১৮দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছিলো, যাতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি সব ধরনের জনসমাগম নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৫০ ভাগ জনবল এবং গণপরিবহনগুলোকে অর্ধেক যাত্রী নিয়ে পরিচালনার কথা বলা হয় সেখানে, যদিও তা কার্যকর করা যায়নি।

ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদনকেন্দ্র ১৪ ই এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ করা হয়েছে এবং বুধবার ধর্ম মন্ত্রণালয় মসজিদসহ উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে সব ধরণের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।

বাংলাদেশে গত বছরের ৮ই মার্চে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দেয়। দিন দিন সেটা বাড়তে থাকায় ২৬শে মার্চ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয় যা পরে কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছিল।

ওই বছরের এপ্রিল ও মে মাস জুড়েই অব্যাহত ছিল এই সাধারণ ছুটি।।

শহরে যান চলাচল শুরু হয়েছে বুধবার থেকেই
Getty Images
শহরে যান চলাচল শুরু হয়েছে বুধবার থেকেই

দেশজুড়ে 'লকডাউন' করার আগ পর্যন্ত আক্রান্ত বাড়ি, প্রয়োজনে জেলা-উপজেলা ইত্যাদি লকডাউন করা হয়েছিল।

২০২০ সালের ১৮ই এপ্রিল পর্যন্ত দেশের ২৯টি জেলা সম্পূর্ণ এবং ১৯টি জেলা আংশিকভাবে লকডাউন করা হয়েছিল।

বিভিন্ন দেশের মত দেশজুড়ে 'লকডাউন' না হলেও সারা দেশেই অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মুক্তভাবে চলাচলের উপর বাধা আরোপ করা হয়েছিল।

সারা দেশে সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত বাইরে বের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল সরকার।

একইসাথে এক এলাকা থেকে আরেক এলাকায় চলাচল বন্ধের জন্যও প্রশাসন কড়াকড়ি আরোপ করেছিল।

English summary
bangladesh government allows to open shops and mall amid coronavirus lockdown
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X