পশ্চিমবঙ্গবাসীর হাত থেকে ছিটকে গেল ইলিশ!
পশ্চিমবঙ্গবাসীর হাত থেকে ছিটকে গেল সাধের ইলিশ। জামদানির পর এবার ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক তকমা পেল বাংলাদেশ। বিশ্বের মোট ইলিশের ৬৫ শতাংশ উৎপাদন হয় বাংলাদেশে, ভারতে ১৫ শতাংশ
পশ্চিমবঙ্গবাসীর হাত থেকে ছিটকে গেল সাধের ইলিশ। জামদানির পর এবার ইলিশ মাছের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেল বাংলাদেশ। এর ফলে ইলিশের নাম আসলে প্রথমেই আসবে বাংলাদেশের নাম। বাংলাদেশের ভৌগোলিক নির্দেশ বা জিআই (জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন) পণ্য হিসেবে ইলিশ নিবন্ধনের সব প্রক্রিয়া শেষ। দিন কয়েকের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের মৎস্য দফতরের হাতে ইলিশের জিআই নিবন্ধনের কাগজপত্র তুলে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশের পেটেন্ট ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক দফতরের রেজিস্ট্রার সানোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, সেখানকার মৎস্য দফতর তাদের কাছে রূপালি ইলিশের ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই তকমা দেওয়ার আবেদন করেছিল। ওই আবেদনের পর তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ বছরের ১ জুন গেজেট প্রকাশ করা হয়। আইন অনুসারে গেজেট প্রকাশিত হওয়ার দুই মাসের মধ্যে দেশে বা বিদেশ থেকে এ বিষয়ে আপত্তি জানাতে হয়। কিন্তু কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ বিষয়ে কোনও আপত্তি জানায়নি। সেই অনুসারে ইলিশ এখন থেকে বাংলাদেশের স্বত্ব। এখনও চূড়ান্ত রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধনের কাজ চলছে। দিন কয়েকের মধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ইলিশের স্বত্ব বাংলাদেশ মৎস্য দফতরের হাতে তুলে দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ মৎস্য দফতরের আধিকারিক সৈয়দ আরিফ আজাদ জানিয়েছেন, ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। এ বিষয়টিকে মাথায় রেখেই ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআই পণ্য হিসেবে তকমা পেতে আবেদন করা হয়। এই ইলিশ বাংলাদেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
ওয়ার্ল্ড ফিশের সমীক্ষা অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ইলিশের ৬৫ শতাংশ উৎপাদন হয় বাংলাদেশে। ভারতে ১৫ শতাংশ, মায়ানমারে ১০ শতাংশ, আরব সাগর তীরবর্তী দেশগুলো এবং প্রশান্ত ও আটলান্টিক মহাসাগর তীরবর্তী দেশগুলোতে বাকি ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ মাছ পাওয়া যায়, বিশ্বের এমন ১১টি দেশের মধ্যে ১০টিতেই এই মাছের উৎপাদন কমছে। একমাত্র বাংলাদেশেই ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে। আর স্বাদের দিক থেকে এগিয়ে পদ্মার ইলিশ।