ভারতকে সরকারকে তোপ দাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে দিল্লি সফর বাতিল বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ভারত সরকারকে তোপ দাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই দিনের সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে ভারত সরকারকে তোপ দাগার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই দিনের সফর বাতিল করলেন বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন।
অমিত শাহকে তোপ দাগেন মোমেন
বুধবার রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব বিল পাশ হওয়ার পরপরই অমিত শাহকে কটাক্ষ কেরছিলেন বাংলাদেশের এই মন্ত্রী। শাহকে তোপ দেগে বাংলাদেশি মন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশের মতো শান্ত ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পরায়ণ দেশ খুব কম আছে। যদি উনি (অমিত শাহ) বাংলাদেশে কয়েক মাস থাকতেন, তবে জানতেন।'
মোমেনের বক্তব্য
এরপর ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ভারতে নিজের অনেক অভ্যন্তরীণ ঝামেলা রয়েছে। ভআরত সেগুলোকে মেটাক। সেগুলি আমাদের মাথা ব্যথার কারণ নয়। তবে আমরা আশা করছি যে ভআরত এমন কিছু করবে না যাতে আমাদের সঙ্গে তাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভেঙে যায়।' পাশাপাশি তিনি অমিত শাহের যুক্তি খণ্ডন করে বলেন, 'আমাদে দেশে কোনও ধর্মের মানুষ কষ্টে নেই। আমরা ধর্মের ভিত্তিতে কোনও মানুষের মূল্যায়ণ করি না। আমাদের দেশের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন অন্য ধর্মের লোকজন।'
অমিত শাহের দাবি
নাগরিকত্ব বিলের স্বপক্ষে যুক্তি দিতে অমিত শাহ বলেছিলেন, '১৯৫০ সালে নেহরু-লিয়াকত চুক্তি সই হয়। তখন নিজেদের দেশে সংখ্যালঘুদের রক্ষা করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। তবে এত বছরে আমাদের প্রতিবেশী দেশে হিন্দু, শিখ সহ সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমাগত অত্যাচার চলেছে। ১৯৭১-র পরেও বাংলাদেশে সেখানের সংখ্যালঘুদের খুঁজে খুঁজে মারা হয় ও সেখানে অত্যাচার চলে। তা হলে কী আমরা তাদের উপর অত্যাচার হতে দেব?'
বিলের সর্ত, কারা হচ্ছেন নাগরিক?
সদ্য পাশ হওয়া বিলটিতে বিলে শর্ত দেওয়া হয়েছে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৪ বা তার আগে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে যে সমস্ত অমুসলিম শরণার্থীরা ভারতে এসেছেন, তাঁদের প্রত্যেককেই নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। অর্থাৎ, হিন্দু, খ্রিস্টান, শিখ, বৌদ্ধ, পারসি বা জৈন ধর্মের যেই লোকেরা ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে ভারতে বসবাস করেছেন, তারা ভারতের নাগরিকত্ব পেয়ে যাবেন।