রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে 'আধার'-এর শরণাপন্ন বাংলাদেশ
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সনাক্তকরণে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সোমবার থেকে এই নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সনাক্তকরণে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিকে কাজে লাগাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। সোমবার থেকে এই নথিভুক্তকরণের কাজ শুরু হয়েছে। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে প্রথম নিবন্ধকরণ করা হয় এক মহিলা রোহিঙ্গা রুবিয়া খাতুনকে।
মঙ্গলবার সকালে বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান জানান, সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক নিবন্ধন শুরুর পর থেকে ২০ জনের নিবন্ধন করা হয়। তাঁদের মধ্যে আটজনের হাতে পরিচয়পত্র তুলে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পাশে শিখ স্বেচ্ছ্বাসেবী সংস্থা]
আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তাকারী সংগঠনগুলির তরফে জানানো হয়েছে, ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৩ লক্ষ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে গিয়েছে। চলতি দফায় বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে চলে যাওয়ায় সরকার বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের পরিকল্পনা নেয়।
[আরও পড়ুন:রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়াতে এবার 'কাজে নামার' ডাক, মায়ানমারকে হুঁশিয়ারি মাসুদ আজহারের]
প্রক্তিয়া অনুযায়ী, প্রথমে রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য নেওয়া হচ্ছে। এতে থাকছে নাম, বাবা-মার নাম, দেশ, ধর্ম, লিঙ্গ সংক্রান্ত তথ্য। এরপর তাঁদের ছবি তোলা হচ্ছে। নেওয়া হচ্ছে ১০ আঙুলের ছাপ। নেওয়া হচ্ছে চোখের মনির ছবিও।
বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের ফলে বাংলাদেশে যাওয়া রোহিঙ্গাদের সম্পর্কে তথ্য় সরকারের কাছে থাকবে। একইসঙ্গে তাঁদের রেশন, স্বাস্থ্যসহ নানা কাজে সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে এই তথ্য কাজে লাগবে।
কমবেশি ২০ টি বায়োমেট্রিক নিবন্ধনের কেন্দ্র খুলে কাজ চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে সরকারের তরফে। প্রতিটি কেন্দ্রে প্রতিদিন ২৫০ থেকে ৩৫০ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে।