ফের ভারতীয় মিডিয়ার উপর রুষ্ট বাংলাদেশ! লাদাখে উত্তেজনার মাঝেই এবার কোন বিষয়ে সরব ঢাকা?
লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে সম্প্রতি সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্ক ফের খারাপের দিকে৷ এর মধ্যেই বেজিং ভারতের প্রতিবেশী দেশ ও শক্তিশালী মিত্র বাংলাদেশকে আক্রমণাত্মকভাবে উসকে দিচ্ছে বলে বলে মনে করা হয়।
বাংলাদেশকে ৫,১৬১টি পণ্যের উপর ৯৭ শতাংশ শুল্ক ছাড় চিনের
প্রসঙ্গত, লাদাখ সংঘর্ষের পরই বাংলাদেশকে ৫,১৬১টি পণ্যের উপর ৯৭ শতাংশ শুল্ক ছাড়ের প্রস্তাব দিয়েছে চিন৷ ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ফের খারাপের দিকে থাকায় বাংলাদেশকে চিন উসকে দিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ভারত-চিন সংঘর্ষে শহিদ হন ২০ জন সেনাকর্মী৷ এর প্রতিশোধ নিতে চিনের অর্থনীতির ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ করছে ভারত৷ তবে বাংলাদেশের সঙ্গে চিনের এই বাণিজ্যিক চুক্তি দিল্লিকে চাপে ফেলতে করা হয়।
ভারত ও চিন উভয়ে বাংলাদেশের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু
এদিকে ভারত ও চিন উভয়ে বাংলাদেশের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাই লাদাখ ইস্যুতে দুই দেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কামনা করে ঢাকা। এমনটাই জানান সেদেশের বিদেশমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। তবে একথা জানালেও তাঁর অভিযোগ, ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ক্রমাগত বাংলাদেশে ও চিনের অবস্থান নিয়ে ভিত্তিহীন মন্তব্য ও অভিযোগ করে আসছে। আকারে ইঙ্গিতে তিনি বুঝিয়ে দিতে চান যে বাংলাদেশ আর নেপাল এক নয়।
নেপালকে চিনের উস্কানি
লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে পরিস্থিতির খারাপ হওয়ার পর নেপাল তাদের নতুন মানচিত্রে ভারতীয় অঞ্চলকে অন্তর্ভুক্ত করা৷ এর পিছনেও চিনের হাত ছিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এরই মাঝে বাংলাদেশ-চিন নতুন সম্পর্কে দিল্লিক কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বাংলাদেশকে কাছে পেতে মরিয়া চিন
আগে এশিয়া-প্যাসিফিক বাণিজ্যিক চুক্তির অধীনে ৩০৯৫টি পণ্যের শুল্ক-মুক্ত বাণিজ্য করত বাংলাদেশ৷ তার সঙ্গেই সংযোজন হল এই নতুন তালিকাটি৷ কম উন্নত দেশ হওয়ার কারণে বাংলাদেশের তরফেই প্রথম এই ছাড়ের কথা চিনকে বলা হয়েছিল৷ আর লাদাখে সংঘর্ষের একদিন পরই অর্থাৎ ১৬ জুন চিনও সেই পদক্ষেপ করে৷
দিল্লি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে
বেজিংয়ের সঙ্গে ঢাকার এই ঘনিষ্ঠতা বাড়ায় দিল্লি কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে৷ কারণ, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বহু বছরের ভালো সম্পর্ক চিনকে দূরে রাখতে সাহায্য করত৷ কিন্তু, নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ও এনআরসি-র কারণে কিছুটা হলেও ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে চিড় ধরে৷ যার জেরে ঢাকায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়৷
ভারতের বাংলা দৈনিকের লেখায় মোমেনের রাগ
এই পরিস্থিতিতেই বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রীর কথায়, 'আমরা আশা করি, দুই দেশ আলাপ-আলোচনা করে তাদের সমস্যা সমাধান করবে। উত্তেজনা প্রশমন করতে হবে। উন্নয়নের জন্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুব প্রয়োজন।' তবে শীর্ষস্থানীয় এক বাংলা দৈনিকে লেখা এই বিষয়ক একটি প্রতিবেদনের কড়া সমালোচনা করেন মোমেন। প্রতিবেদনে 'খয়রাতি' শব্দটির ব্যবহারে আপত্তি জানায় বাংলাদেশ। এর জেরে সেই সংবাদপত্রের তরফে ক্ষমাও চাওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
এবার বন্ধু নেপালের এলাকাও দখল করে নিচ্ছে চিন! ফের ভারতের শরণে আসবে ওলির দেশ?