জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে রোহিঙ্গাদের নির্বীজকরণের সিদ্ধান্ত সরকারের
রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে স্বেচ্ছায় নির্বীজকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে আহ্বান জানাতে চলেছে সরকার।
মায়ানমারের রাখাইন এলাকা থেকে রোহিঙ্গাদের উৎখাত করার পরে বাংলাদেশে ভিড় বাড়ছে সীমান্ত পেরিয়ে আসা উদ্বাস্তুদের। রোহিঙ্গাদের জন্য নির্দিষ্ট অস্থায়ী ক্যাম্পে ভিড় উপচে পড়ছে। কমপক্ষে দশ লক্ষ রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে বাঁচতে নতুন উপায় ভেবে বের করেছে শেখ হাসিনা সরকার।
রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে স্বেচ্ছায় নির্বীজকরণ প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে আহ্বান জানাতে চলেছে সরকার। মায়ানমারে সেনার অভিযানের পর অন্তত ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে এবং এখনও আসছে। সেই চাপ সামাল দিতেই তৎপরতা বাংলাদেশ সরকারের।
পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মানবতার খাতিরে বাংলাদেশ জায়গা দিয়েছে। তবে এত সংখ্যক লোক চলে আসায় রাজকোষে যেমন টান পড়ছে, তেমনই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার উপরে যদি পরিবার পরিকল্পনার অংশ হিসাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘুরে জানিয়েছে, এক একটি পরিবারে অনেক সদস্য। কারও কারও ১৯-২০টি করে সন্তান। সেদেশে রোহিঙ্গাদের শিক্ষার সেরকম সুযোগ দেওয়া হয়নি। নানা সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। যার ফলে পরিবার পরিকল্পনার কোনও ছাপ নেই। অনেকে আবার জন্ম নিয়ন্ত্রণকে পাপ বলে মনে করেন।
সেই জায়গা থেকে বাংলাদেশ সরকার প্রথমে কন্ডোম সহ নানা ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রক ব্যবস্থা দিয়ে সাহায্য করতে চেষ্টা করেছিল। তবে রোহিঙ্গা জনচেতনার অভাবে সেসবে সাড়া দিচ্ছে না। তাই নির্বীজকরণ করেই রোহিঙ্গাদের জন্মনিয়ন্ত্রণে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশ সরকার।