নিজেদের সীমান্ত কাঁটাতার দিয়ে মুড়ে ফেলছে বাংলাদেশ
ঢাকা, ২৬ সেপ্টেম্বর : ভারত যখন অসমে নিজের দেশের সীমান্ত এলাকা বন্ধ করে দেওয়ার কথা ভাবছে, ঠিক তখনই বাংলাদেশ ঘোষণা করেছে যে ভারত ও মায়ানমার সীমান্ত তাঁরা কাঁটাতার দিয়ে মুড়ে ফেলবে। বাংলাদেশের সেনার এক উচ্চ আধিকারিক এই খবর জানিয়েছেন। [পাকিস্তানে ছাপা জাল নোট এই ৩টি দেশ ঘুরে ভারতে আসে!]
বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনীর (বিজিবি) ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানান, বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ভারত ও মায়ানমারের সঙ্গে থাকা স্থল সীমান্তের ২৮২ কিলোমিটার এলাকা কাঁটাতার দিয়ে মুড়ে ফেলা হবে। [কীভাবে পাকিস্তানে তৈরি জাল ভারতীয় নোট বাংলাদেশ হয়ে ঢুকছে এদেশে]
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ সীমান্ত দৈর্ঘ্যে ৪ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি। মায়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের সীমানা ২৭১ কিলোমিটার দীর্ঘ। বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে ভারতের মতো তাঁরাও সীমান্ত এলাকায় রাস্তা তৈরি করবে অথবা রাস্তা জুড়ে দেবে যাতে নজরদারি চালাতে সুবিধা হয়। [জেনে নিন কীভাবে মালদহ দিয়ে সারা দেশে ছড়াচ্ছে জাল নোট]
এতদিন পরও বাংলাদেশ সরকার সীমান্ত এলাকায় সেভাবে বেড়া তৈরি করতে পারেনি, এবং নজরদারি জোরদার করতে রাস্তাও তৈরি হয়নি সীমান্তের ওপারে। ফলে অবৈধ কারবার, অনুপ্রবেশ ও সন্ত্রাসবাদকে সামনে রেখে তাই এই দুটি বিষয়ে আশু পদক্ষেপ করতে চাইছে শেখ হাসিনা সরকার। [ম্যাচ ফিক্সিং কী করে হয় জানেন? জেনে নিন একজন বুকির ভাষ্য]
এই সমস্ত প্রকল্পে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয়। তবে হাসিনা সরকার অর্থের অপ্রতুলতা সত্ত্বেও ২৮২ কিলোমিটার এলাকার জন্য অর্থ মঞ্জুর করেছে সরকার। মায়ানমার সীমান্ত দিয়েই সেই কাজ শুরু হবে বলে বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ জানান।
প্রতিবেশী ভারতের প্রশংসা করে বিজিবি ডিরেক্টর আজিজ আহমেদ জানান, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ৭৯ শতাংশ এলাকাই কাঁটাতারের বেড়ার আবৃত। এটা ভারতই করেছে। ফলে এতে আমাদের সুবিধাই হয়েছে। সীমান্তের নানা অপরাধ তাতে কমেছে।
তবে কিছু জায়গা এমন রয়েছে যেগুলিতে এখনও বেড়া লাগানো যায়নি। আঞ্চলিক নানা কারণই এর জন্য দায়ী। তবে বিএসএফের সহযোগিতায় বাংলাদেশ সীমান্ত বাহিনীও তৎপর বলে জানানো হয়েছে।
জানা গিয়েছে, ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের সেনাই একসঙ্গে বসে একটি ডেটাবেস তৈরি করছে যাতে অপরাধী ও বারবার সীমান্ত পেরতে গিয়ে ধরা পড়া ব্যক্তিদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য থাকবে। এর ফলে সীমান্ত অপরাধমূলক কাজকর্ম অথবা সন্ত্রাসবাদের আদানপ্রদান অনেকটাই কমবে বলে আশাপ্রকাশ করা হচ্ছে।