নৌ দুর্ঘটনা: লঞ্চে চড়ে যেতে চেয়েছিলেন ঢাকা, পা হারিয়ে গেলেন হাসপাতালে
ভোলার দৌলতখানে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পা-টাই হারিয়েছেন এক নারী।
তিনি তাড়াহুড়া করে লঞ্চে উঠতে গিয়ে পিছলে পড়েন এবং লঞ্চে ও পন্টুনের মাঝখানে পড়ে তার পা হাঁটু থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শনিবার রাত আটটার দিকে দৌলতখান লঞ্চ টার্মিনালে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান দৌলতখান থানার ওসি বজলার আহমেদ।
আহত যাত্রীটি ঢাকায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে লঞ্চঘাটে আসেন। ঢাকাগামী লঞ্চ এমভি ফারহান-৫ টার্মিনালের দিকে ভিড়তে শুরু করলে মানুষ তাড়াহুড়ো করে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করে।
এসময় ভিড়ের মধ্যে ধাক্কা খেয়ে তার বাম পা পন্টুন থেকে পিছলে নীচে পড়ে যায়। পর মুহূর্তে লঞ্চটি সজোরে ধাক্কা দিলে হাঁটু থেকে নীচের অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
পরে আশেপাশে থাকা মানুষ ওই বিচ্ছিন্ন পা-সহ গুরুতর আহত নারীকে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
কিন্তু অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে পরে ভোলার জেলা সদর হাসপাতালে এবং সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্পিডবোটে করে বরিশালের শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরও পড়তে পারেন:
বাংলাদেশের ভয়াবহ ৫ টি লঞ্চডুবির ঘটনা
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবি: ৩২ জনের মরদেহ উদ্ধার, ধাক্কা দেয়া লঞ্চ 'জব্দ'
ভিআইপি'র জন্য ফেরি আটকা, ছাত্রের মৃত্যুতে তীব্র ক্ষোভ
ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে মন্তব্য: শাজাহান খান যা বলছেন
মি. আহমেদ বলেন, চরফ্যাশন থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা লঞ্চগুলো দৌলতখান লঞ্চঘাটে যাত্রী উঠানোর জন্য অল্প সময়ের জন্য দাঁড়ায়। এ কারণে ওই সময়ে একসাথে অনেক মানুষ ভিড় করে লঞ্চে ওঠার চেষ্টা করে।
এই ভিড়ের কারণেই ওই নারী ভারসাম্য হারিয়ে পড়ে গিয়ে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এরিমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি। পুলিশ একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান মি. রহমান।