২৫ হাজার টাকা দিলেই কড়কড়ে ১ লক্ষের নোট! লোভনীয় ‘অফার’ কাঁটাতারের ফাঁকে
মাত্র ২৫ হাজার টাকার বিনিময়েই মিলছে কড়কড়ে এক লক্ষ টাকার নোট! সীমান্তের ফাঁক গলে কারবার একেবারে রমরমা। খাস রাজধানী শহরেই ‘কাঁচা’ টাকার এই কারবারের পর্দাফাঁস করে দিল বাংলাদেশ ব্যাটেলিয়ন।
মাত্র ২৫ হাজার টাকার বিনিময়েই মিলছে কড়কড়ে এক লক্ষ টাকার নোট! সীমান্তের ফাঁক গলে কারবার একেবারে রমরমা। খাস রাজধানী শহরেই 'কাঁচা' টাকার এই কারবারের পর্দাফাঁস করে দিল বাংলাদেশ ব্যাটেলিয়ন। সম্প্রতি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় ধরা পড়েছে জাল নোট পাচার চক্র। সেই চক্রের মূল পান্ডাকে জেরা করে উঠে এসেছে এহেন চাঞ্চল্যকর তথ্য।
রাজধানীর বুকে জালনোটের ছাপাখানা খুলে কারবারে পসার লাভ করেছিল ধৃত সামসুল। বাংলাদেশ ব্যাটেলিয়ন গোপন সূত্রে এই খবর পেয়েই অভিযান চালায়। তারপরই প্রকাশ্যে আসে ঘটনা। মহম্মদপুর এলাকার একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয় জালনোট পাচার চক্রের মূল পান্ডা সামসুল আলমকে।
[আরও পড়ুন: 'তান্ত্রিক' স্ত্রী'র বলেই বলীয়ান ইমরান পাক মসনদে! চাঞ্চল্যকর দাবি পাক বংশোদ্ভুত লেখকের]
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন গোয়েন্দারা। এরপরই একে একে প্রকাশ্যে আসে ঘটনাপ্রবাহ। সামসুল ভারত-বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে জালা নোট পাচার চালাত। কীভাবে চলত এই পাচার চক্র? সামসুলের কথায়, জাল নোট ছাপার পর তা পৌঁছে দেওয়া হত এজেন্টদের হাতে। তাঁরাই সেগুলি নিয়ে আসত সীমান্তে। তারপর কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় এজেন্টদের হাতে তুলে দেওয়া হত। সেখান থেকেই ভারতে পাচার হত জাল নোট।
[আরও পড়ুন:ভারতের মোহ কাটিয়ে চিনের দিকে ঝুঁকল নেপাল, ব্যবসা বাড়াতে নতুন কৌশল হিমালয়ের দেশের]
জেরায় সামসুল জানায়, এক লক্ষ টাকার জাল নোটের বিনিময়ে পাওয়া যেত ২৫ হাজার টাকা। ভারতের পাচারকারীরা ওই দরেই জালানোটগুলি কিনে নিত। এই কাজে বেশ কিছু সীমান্তের অফিসারেরও যোগসাজোশ রয়েছে বলে জেরায় জানিয়েছে সামসুল। বছর খানেক আগেই একবার গ্রেফতার হয়েছিল সে। তারপর ফের সামসুল এই কারবারে নামে।
[আরও পড়ুন: এ কেমন সিংহ, পর্যটকদের কোলে মুখ ঘুষছে, চেটে দিচ্ছে! ভাইরাল ভিডিও-তে বুঁদ সোশ্যাল মিডিয়া]