এই কারণে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বন্ধের হুমকি বাংলাদেশ প্রশাসনের
বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখার কাজ শুরু করল বাংলাদেশ। সরকার নির্ধারিত জায়গায় না থাকলে ত্রাণ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে
বাংলাদেশের কক্সবাজারের উখিয়া এবং টেকনাফে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের এক জায়গায় রাখার কাজ শুরু করল বাংলাদেশ। এজন্য দুহাজার একর জমি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। সরকার নির্ধারিত জায়গায় না থাকলে ত্রাণ বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে কোনও রকমে নদী কিংবা মায়ারমারের অংশের পাহাড় পেরিয়ে বাংলাদেশের অংশের বিভিন্ন পাহাড়ি ঢালে বসতি গড়ে তোলে রোহিঙ্গারা। উখিয়া ও টেকনাফের প্রায় ২০ হাজার একর পাহাড়ি বনভূমিতে রোহিঙ্গারা বসতি গড়ে তোলে। বাংলাদেশ প্রশাসন ইতিমধ্যে মূল সড়কের পাশের পাহাড় থেকে বসতি তুলে দিয়েছে। তবে বড় সড়ক থেকে দূরের পাহাড়গুলিতে এখনও বসতি রয়েই গিয়েছে। বাংলাদেশের বনবিভাগ জানিয়েছে, উখিয়া এবং টেকনাফের বালুখালি, নকরারবিল, পুটিবুনিয়া, বাঘঘোনাসহ বেশ কিছু জায়গায় এখনও রোহিঙ্গাদের বসতি রয়েছে।
বিক্ষিপ্তভাবে পাহাড় কেটে বসতি তৈরির ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পাহার ধসে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন পরিবেশবিদরা। এই বসতি তৈরি করতে গিয়ে উখিয়ার কুতুপালং, বালুখালি টেকনাফের লেদা, মুছনি, বান্দরবানের চাকডালা, তুমবরু, জলপাইতলিসহ বেশ কিছু এলাকার বন-জঙ্গল সাফ করে দিয়েছে রোহিঙ্গারা।
বাংলাদেশ সরকারে তরফে ২ হাজার একর জমি নির্ধারিত করা হয়েছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য। এই এলাকার বাইরে বিচ্ছিন্নভাবে কাউকেই থাকতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে সরকার নির্ধারিত জায়গায় না থাকলে ত্রাণসহ অন্য সুবিধাও বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এদিক, মায়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে নীরব থাকলেও, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ পাঠাল চিন। বুধবার ত্রাণবাহী বিমান নামে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে। দুহাজারের ওপর ত্রিপল ওই বিমানে পাঠিয়েছে চিন। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবারও অপর একটি বিমানে ত্রাণ পাঠাবে চিন।