ফের অ্যাপ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে ভারতের বিরুদ্ধে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি চিনের
ফের অ্যাপ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে ভারতের বিরুদ্ধে ‘প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা’ নেওয়ার হুঁশিয়ারি চিনের
চিন-ভারত সংঘাতের আবহে ভারতের নিরাপত্তা ও সর্বভৌমত্ব রক্ষার স্বার্থে গত মাসে টিকটক সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে ভারত সরকার। পরবর্তীতে সোমবার ফের চিনের উপর আরও একটা ডিজিটাল স্ট্রাইক চালাল ভারত। নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হল আরও ৪৭টি চিনা ক্লোন অ্যাপ। এবার এই বিষয়েই প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল বেজিংকে।
অ্যাপ নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার হুশিয়ারি
মঙ্গলবার এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বেজিংয়ের তরফে বলা হয়েছে চিনা কোম্পানির বৈধ অধিকার এবং স্বার্থরক্ষার জন্য তারা শীঘ্রই "প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা" নিতে চলেছে। ভারতের উপর গোপনে নজরদারি চালানোর অভিযোগে গত ২৯শে জুন টিকটক, ইউসি ব্রাউজার, উইচ্যাট সহ ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হয় ভারতে।
নিষিদ্ধ হতে পারে পাবজিও
পরবর্তীতে ফের এই দফায় আগেই নিষিদ্ধ হওয়া একাধিক অ্যাপের ক্লোন অ্যাপের উপর খাঁড়া নামায় কেন্দ্র। বর্তমান নিষেধাজ্ঞায় ওই ধরনের অ্যাপগুলিকেই সাধারণত টার্গেট করেছে কেন্দ্র। পাবজি (প্লেয়ার আননোন'স ব্যাটলগ্রাউন্ডস)-র মতো জনপ্রিয় অনলাইন গেমিং অ্যাপও কেন্দ্রের নিষেধাজ্ঞার কোপে চলে আসতে পারে বলে সূত্রের খবর। এবার এই বিষয়েই বক্র প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা গেল চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রংকে।
কি বলা হচ্ছে ভারতের ইলেকট্রনিক্স ও ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রকের তরফে
কেন্দ্রকে নিশানা করে জি রং একটি বিবৃতিতে মঙ্গলবার বলেন, "বাজারের নীতিমালা অনুসারে চিনা সংস্থা সহ ভারতে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের বৈধ অধিকার এবং স্বার্থ রক্ষার দায়িত্ব ভারত সরকারের।" এই বিষয়ে ভারতের তরফে কোনও ‘ভুল' হলে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি তা বদলের কথাও বলেন। এদিকে ইতিমধ্যেই ভারতের ইলেকট্রনিক্স ও ইনফরমেশন টেকনোলজি মন্ত্রকের বলা হয়েছে, যারা ব্যান হওয়া অ্যাপ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চালাবে বা সক্রিয় রাখবে, তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হুঁশিয়ারি চিনা দূতাবাসের মুখপাত্রের
যদিও বর্তমানে চিনা দূতাবাসের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ভারতের তরফে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি বলেই জানা যাচ্ছে। এদিকে বর্তমানে ভারতীয় নেট দুনিয়ায় নিষিদ্ধ হওয়া চিনা অ্যাপের সংখ্যা ১০৬ পৌঁছেছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিন জি রং এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, " বিদেশে ব্যবসারত সমস্ত চিনা সংস্থাকেই বেজিং সর্বদা আন্তর্জাতিক নীতিমালা মেনে চলতে বলে। চিন ও ভারতের মধ্যে ব্যবহারিক সহযোগিতা পারস্পরের জন্যই উপকারী। এ জাতীয় সহযোগিতার ক্ষেত্রে ইচ্ছাকৃত হস্তক্ষেপে ভারতের স্বার্থসিদ্ধি হবে না। চিন তাদের সমস্ত দেশীয় সংস্থাগুলির বৈধ অধিকার এবং স্বার্থরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।"
মুকুলের যুক্তিতেই মান্যতা বিজেপির! একুশে জয়ের অঙ্ক ভিন্নভাবে কষছেন মোদী-শাহরা