করোনা ভাইরাস স্ক্রিনিং যন্ত্র তৈরি করতে গিয়ে অসুস্থ হলেন অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট
করোনা ভাইরাস চিকিৎসার এখনও পর্যন্ত কোনও ওষুধ বেরোয়নি। করোনা ভাইরাস চিকিত্সায় ও সংক্রমণ ঠেকাতে উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে। করোনাভা ইরাসের প্রতিষেধক বা টীকা আবিষ্কারে প্রতিযোগিতায় নেমেছে বড় বড় ওষুধ কম্পানিগুলো। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নানা পরীক্ষা শেষে এসব টীকা কার্যকর প্রমাণ করতে আরো এক বছর বা বেশি সময় লাগতে পারে। এরই মধ্যে করোনা ভাইরাসে টেল্ট কিট তৈরির ক্ষেত্রেও বেগ পেতে হচ্ছে বিজ্ঞানীদের।
অসুস্থ হয়ে পড়েন অস্ট্রেলিয়ান অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট
এরই মধ্যে লকডাউনের জেরে বাড়িতে বসে কী করবেন, তা বুঝে পাচ্ছিলেন না এক অস্ট্রেলিয়ান অ্যাস্ট্রোফিজিসিস্ট। আর কী করবেন বুঝে না পেয়ে লেগে পড়েছিলেন করোনা সংক্রমণ চিহ্নিত করার এক যন্ত্র তৈরির কাজে। আর তাতেই হয় বিপত্তি। অসুস্থ হয়ে পড়েন নিজেই।
অ্যালার্ম সিস্টেম তৈরির চেষ্টা করছিলেন ড্যানিয়েল
জানা গিয়েছে ড্যানিয়েল রেয়ারড্রন নামক এক ধরণের অ্যালার্ম সিস্টেম তৈরির চেষ্টা করছিলেন যাতে করোনা সংক্রমিত কোনও ব্যক্তি কাছে এলেই তা বেজে উঠবেন। তবে ম্যাগনেট নিয়ে কাজ করার সময় সেগুলি তার নাকে ঢুকে গিয়ে তার শ্বাসরোধ করে। দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। আপাতত তিনি সুস্থ আছেন বলে জিনি গিয়েছে।
চিনে ন্যানোম্যাটেরিয়াল তৈরি
এদিকে বর্তমান পরিস্থিতিতেই এবার চিনের তরফে দাবি করা হল যে করোনা রোধে এক নতুন ধরণের প্রযুক্তি আমদানি করেছে তারা। ওষুধ তৈরি করতে কোনও কম্পাউন্ড নয়, বরং ব্যবহার করছে একপ্রকারের ন্যানোম্যাটেরিয়াল বা ক্ষুদ্রাণু বস্তুকে।
ওষুধ তৈরির দাবি করে রাশিয়াও
এছাড়া রাশিয়াও দাবি করছে তারা করোনা রোধে কার্যকর ওষুধ বের করতে সক্ষম হয়েছে। মেলফ্লোকুইন এর ওপর ভিত্তিকরে নতুন এ ওষুধ তৈরি করা হয়েছে। মেলফ্লোকুইন ম্যালেরিয়া চিকিত্সায় ব্যবহার হয়। এই বিষয়ে রাশিয়ার বিজ্ঞানীরা জানান, চিন ও ফ্রান্সের চিকিৎসকরা যে পদ্ধতিতে রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছেন তার ওপর গবেষণা করেই নতুন এ ওষুধ উদ্ভাবন করা হয়েছে।