প্রবাসে মায়ের নতুন পুজো, এবার আয়ারল্যান্ডের অ্যাথলনে বেজে উঠবে আগমনী সুর
সূদূর আয়ারল্যান্ডের অ্যাথলন। এবার প্রথমবার তারা দেখবে বাঙালিদের দুর্গাপুজো। উদ্যোক্তা চারটি বাঙালি পরিবার।
কথায় আছে দুটি বাঙালি পরিবার এক হলেই তারা প্রথম যা করে তা হল দুর্গাপুজো। ঠিক এরকমটাই হল অ্যাথলনে। ডাবলিন থেকে প্রায় ১২৪ কিলোমিটার দূরে আয়ারল্যান্ডের ছোট্ট শহর অ্যাথলন।
এবার অ্যাথলনেই আসর
বিভিন্ন ব্যস্ততার কারণে প্রতি বছর এতটা রাস্তা পেরিয়ে ডাবলিনে গিয়ে পুজো দেখা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তারওপর পুজো আর দেশের মত সপ্তাহব্যাপী উৎসব নয়। কর্মব্যস্ততার মধ্যে সপ্তাহান্তে বসে পুজোর আসর। তাই এবার চারটি বাঙালি পরিবার এক হয়ে নেয় একটা দারুণ সিদ্ধান্ত। আর ডাবলিন নয়, এবার অ্যাথলনেই হবে দুর্গাপুজো।
ঠাকুর বানালেন আয়োজকরা নিজেরাই
তবে সিদ্ধান্তটা নিতে একটু সময় লেগে যাওয়ায় দেশ থেকে ঠাকুর আনানো সম্ভব ছিল না। তো কী হয়েছে। ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়। ঠিক সেরকমই স্থির করে নেন সুচেতনা -অমর্ত্য ও তাঁদের বন্ধুরা। হাতে গোনা কয়েকটা দিনে নিজেরাই ঠাকুর বানাবেন স্থির করে নেন।
প্রায় সারা ঠাকুর তৈরির কাজ
সারা সপ্তাহের কাজ সামলে সপ্তাহান্তে ঠাকুর বানানোর কাজ। মূলত কাগজ কেটে তৈরি হচ্ছেন অ্যাথলনের মা দুর্গা ও তাঁর সন্তানরা।
কাগজের কারিগরিতে প্রাণ পাচ্ছেন ঠাকুররা
একেক জন এক একটা দায়িত্ব ভাগ করে নিয়ে গড়ে তুলেছেন মা দুর্গা, সরস্বতী. লক্ষ্মী, কার্তিক, গণেশ। গণেশের গায়ে শেষ টাচআপের কাজ চলছে।
দেশ থেকে হাজির পুজো সামগ্রী
শুধু তাই নয় দেশ থেক পুজোর সব উপাচারও ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে অ্যাথলনে। পুজো হবে সামনের সপ্তাহান্তে। তারসঙ্গে থাকবে জোরদার খাওয়াদাওয়া।
ছোট থেকে শুরু, স্বপ্ন বড়
চার পরিবারের ইচ্ছা সামনের বার আরও বড় করে করা হবে দুর্গাপুজো। তবে তার আগে নিজেদের তৈরি মাতৃপ্রতিমাকে পুজোর ইচ্ছাতেই এখন মশগুল অ্যাথলনের বাঙালিরা।