ইতিহাসের দোরগড়ায় আমেরিকা, কমলার জয়েই আধুনিক পরিবারের নয়া নির্দশন দেখছে গোটা বিশ্ব
অপেক্ষা আর মাত্র দু-দিনের। আর তারপরেই আমেরিকার ইতিহাসে প্রথম মহিলা উপরাষ্ট্রপতি হিসাবে মসনদে বসতে চলেছেন কমলা হ্যারিস। সঙ্গেই বাইডেনের হাত ধরেই তার মুকুটে উঠতে চলেছে আরও একাধিক পালক। তবে নবনির্বাচিত উপরাষ্ট্রপতি হিসেবে ভারতীয় বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিসও যে কম নন, তা বোঝা যায় তাঁর কর্মদক্ষতা ও কর্মজীবন থেকেই। এমনকী প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ উপরাষ্ট্রপতি হিসাবেও দায়িত্ব নিতে চলেছেন কমলা। পাশাপাশি নিজ পরিবারের মাধ্যমে আধুনিক পরিবারের যে সংজ্ঞা তৈরি করেছেন কমলা, তাতে অভিভূত বিশ্ববাসী।

শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের জন্য তৈরি হচ্ছে কমলার পরিবার
কমলার শপথগ্রহণ ঘিরে মারাত্মক উছ্বসিত তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ভাইঝি মিনা হ্যারিস হোন বা সৎ মেয়ে এলা এমহফ, সকলেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন নিজের মতো করে। অন্যদিকে কমলার বর্তমান স্বামী ডউগ এমহফ ও ডউগের প্রাক্তন স্ত্রী কার্সটিন এমহফও আনন্দিত একইরকম ভাবে। অন্যদিকে কমলা ও কার্সটিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এমনকী কমলার পরিবারের হাত ধরেই যে মার্কিন রাজনীতির ময়দানে এক আধুনিক পরিবারে সংজ্ঞা নির্দেশিত হয়েছে তাও স্বীকার নিচ্ছেন ইতিহাসবিদ ন্যান্সি এফ কট।

কমলার জয়ের হাত ধরেই সংজ্ঞা বদলাচ্ছে আধুনিক মার্কিন পরিবারের
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুশান ডউগলাসের মতে, "১৯৬৭-এর পর থেকে বেড়েছে ভিন্নজাতির মধ্যে বিবাহের সংখ্যা। বর্তমানে আমেরিকায় প্রতি ৬টি বিবাহের মধ্যে একটি ভিন্নজাতির মধ্যে হয়ে থাকে।" রাজনীতিকদের মতে, একদিকে যেভাবে হিন্দু ও খ্রিস্টান বিশ্বাসের মধ্যে বেড়ে উঠেছেন কমলা, পাশাপাশি ইহুদি পরিবারে লালিত হয়েছেন তাঁর স্বামী, তাতে তাঁদের পরিবারে যে ধর্মজাতির ছুৎমার্গ থাকবে না, তা বলাই যায়। কমলা নিজেই জানিয়েছেন যে সৎ সন্তানদের কাছে তিনি মা না হয়েও যে মায়ের মত হয়ে উঠতে পেরেছেন এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

জয় প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কমলার কথা বারবার ফিরে এসেছে তার পরিবারের কথা
গত আগস্টের ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে কমলা নিজের বেড়ে ওঠার গল্প বলেছিলেন সবিস্তারে। মা ও মাসি কিভাবে তাঁর দুই মা হয়ে উঠেছিল, আন্তর্জালের আশীর্বাদে সে কথা জানেন প্রত্যেক নেটিজেনই। নিজের সকল সাফল্যের কৃতিত্ব পরিবারকে দিলেও কমলা এও জানাতে ভোলেননি যে, "রক্তের সম্পর্ক ছাড়াও কাউকে বেছে নিলে সেও পরিবারের অন্তর্গত হয়।" এ প্রসঙ্গে খ্রিসেট হাডলিন-এর কথাও বিশেষ ভাবে বলেন কমলা। এই খ্রিসেটের সন্তানদের কাছে আর এক মায়ের মর্যাদা পেয়েছেন কমলা।

মহিলাদের দাপটে খানিকটা পিছনে পড়ে যাচ্ছেন পুরুষ রাজনীতিকরা ?
বারাক ওবামা হোন বা জর্জ বুশ, আমেরিকার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ব্যক্তিত্বদের স্ত্রীরা সর্বদাই ফার্স্ট লেডির মর্যাদা পেয়ে এসেছেন। ভিন্ন ভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন দায়িত্বও সামলেছেন তাঁরা। কিন্তু ক্রমবর্ধমান মহিলা রাজনীতিকদের কারণে বর্তমানে সংখ্যা বাড়ছে 'হোয়াইট হাউস স্পাউস'-দের। এহেন স্বামীদের তেমন কোনো পোস্ট নেই, নেই কোনো গুরুদায়িত্বও। স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন মুলুকে নারীশক্তির জোয়ারে যে কিছুটা হলেও বেকায়দায় পুরুষ রাজনীতিকরা, তা মেনে নিচ্ছেন অধিকাংশ রাজনীতিবিদ।

বিজেপির ভয়ে উল্টো সার্ভে রিপোর্ট! কত আসনে তৃণমূলের জয়, নন্দীগ্রামের সভা থেকে ঘোষণা মমতার