প্রবল বৃষ্টিতে হড়পা বান ও ভূমিধসে বিপর্যস্ত ফিলিপিন্সের একাধিক শহর, মৃত কমপক্ষে ৪২
ফিলিপিন্সে হড়পা বান ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে,
ফিলিপিন্সের দক্ষিণে হড়পা বান ও ভূমিধসের কারণে কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ১৭ জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে স্থানীয় প্রশাসন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। গত কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টির জেরে হড়পাবানের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছে। মাগুইন্দানাও প্রদেশের তিনটি শহর সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
ফিলিপিন্সের অভ্যন্তরে স্বয়াত্তশাসিত অঞ্চলের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাগুইব সিনারিম্বো বলেন, প্রবল বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি অঞ্চলে একাধিক ভূমিধস দেখা দেয়। নদীগুলোর বৃষ্টির জলে ফুলে ওঠে। বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। এখনও জনবন্দি বেশ কিছু মানুষের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছতে পারেনি। তবে হতাহতের সংখ্যা বাড়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বলেন, ভূমিধস ও নদীর স্রোতে ভেসে গিয়ে বেশিরভাগ বাসিন্দার মৃত্যু হয়েছে। বেশ কয়েকটি শহর ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ফিলিপিন্সের এক সেনা আধিকারিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছে, হড়পা বানে কমপক্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে। বহু মানুষ জলবন্দি অবস্থায় রয়েছেন। তাঁদের উদ্ধার করার চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী। হড়পাবানে প্রচুর বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত
হয়েছে।
বাস্তুচ্যুতদের
ত্রাণ
শিবিরে
নিয়ে
যাওয়া
হচ্ছে
বলে
ফিলিপিন্সের
সেনাবাহিনীর
তরফে
জানানো
হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নাগুইব
সিনারিম্বো
বলেন,
বেশ
কিছু
নীচু
এলাকাতে
এখনও
বহু
মানুষ
আটকে
পড়েছেন।
জলস্তর
বাড়তে
শুরু
করলে
স্থানীয়
বাসিন্দারা
ছাদে
আশ্রয়,
পুলিশ,
সেনাবাহিনী
ও
স্বেচ্ছাসেবীরা
তাঁদের
উদ্ধার
করে
বিভিন্ন
ত্রাণ
শিবিরে
নিয়ে
যাচ্ছেন।
তিনি
বলেন,
কোটাবাটো
শহরে
বহু
বছর
কোনও
বন্যা
পরিস্থিতির
শিকার
হয়নি।
কিন্তু
প্রবল
বৃষ্টিতে
কোটাবাটো
শহরেও
বন্যা
পরিস্থতি
দেখা
দিয়েছে।
প্রতিবছর ফিলিপিন্সে একাধিক ঝড় আঘাত হানে। চলতি বছরে ১৬ তম ঝড় নালগার জেরে প্রবল বৃষ্টিপাত হয়। যদিও এই ঝড়টি ফিলিপিন্সের উত্তরে আঘাতে হানে। ফিলিপিন্স আবহাওয়া দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, শুক্রবার বিকেলে উত্তরের সামার প্রদেশের ক্যাটারম্যান শহর থেকে প্রায় ১৮০ কিমি পূর্বে ঘণ্টা ৮৫ কিমি বেগে উত্তর পশ্চিম দিকে ঝড়টি প্রবাহিত হয়।
এই ঝড়ের জেরে রাজধানী ম্যানিলা সহ একাধিক শহরে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছিল। মাছ ধরার নৌকা ও পণ্যবাহী জাহাজগুলো সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। ৫০০০ মানুষকে অপেক্ষাকৃত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ফিলিপিন্সে প্রতিবছর গড়ে ২০টি ঝড় ও টাইফুন আঘাত হানে।
ভারতে আর্থিক পরিষেবার ব্যবসা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত Xiaomi-এর