চাঁদের বুকে বিরাট দুই গর্ত কি রকেটের ক্ষত, বিস্ময় ছবি ধরা পড়ল নাসার অরবিটারে
চাঁদে রকেটের ছবি ধরা পড়ল নাসার লুনার রিকনসেন্স অরবিটারে, গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
নাসার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিগত বছর তাঁদের একটি গবেষণায় চাঁদের বুকে সংঘর্ষের এক ছবি সামনে এনেছিলেন। একটি রকেট চাঁদের বুকে আছড়ে পড়েছিল। ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল সেই রকেট। এবার সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত রকেটের দেহ আবিষ্কার করলেন নাসার বিজ্ঞানীরা। ওই রকেট চাঁদের বুকে কতটা ক্ষত তৈরি করেছিল তা সম্প্রতি ধরা পড়েছে নাসার লুনার রিকনসেন্স অরবিটারে।
নাসার অরবিটার ক্ষতচিহ্ন আবিষ্কার করে চাঁদে
চাঁদের বুকে রকেটের আছডে পড়া বা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল ৪ মার্চ। তার ফলে চাঁদের বুকে প্রকাণ্ড এক গর্ত হয়েছিল। সেই গর্তটি বর্তমানে নাসার লুনার রিকনসেন্স অরবিটারে ধরা পড়েছে। নাসার লুনার রিকনসেন্স অরবিটার ওই ক্ষতচিহ্ন আবিষ্কার করে চাঁদে। সে বিষয়ে বিশদেও জানান নাসার বিশেষজ্ঞ বা জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা।
চাঁদের ছবি নিয়ে গবেষণার পর তথ্য
নাসার বি্জ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আশ্চর্যজনকভাবে ওই রকেট চাঁদের বুক ধ্বংস হওয়ার পর যে ছবি দেখা গিয়েছে, সেখানে ক্ষতস্থানটি দুটি গর্ত নিয়ে গঠিত। একটি পূর্বদিকের গর্ত, তার ব্যাস ১৮ মিটার। আর একটি গর্ত রয়েছে পশ্চিমে, তার ব্যাস প্রায় ১৬ মিটার। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই তথ্য দিয়েছেন চাঁদের ছবি নিয়ে গবেষণার পর।
চাঁদের বুকে গর্তের দ্বৈত প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা
চাঁদের বুকে এই ডাবল ক্রেটারটি অপ্রত্যাশিত ছিল। এবং এই ডাবল ক্রেটার বা জোড়া গর্ত ইঙ্গিত করে যে, রকেটের শরীরের প্রতিটি প্রান্তে বিশাল ভর ছিল। সাধারণত একটি ধাবমান রকেটের ভর কেন্দ্রীভূত হয় মোটর প্রান্তে। বাকি রকেট প্রধানত একটি খালি জ্বালানি ট্যাংক নিয়ে গঠিত। এখন গর্তের দ্বৈত প্রকৃতি থেকেই অনুমেয় কোন অংশের সৃষ্ট ক্ষত কোনটি।
চাঁদে ডাবল ক্রেটার ও রকেটের ধ্বংসাবশেষ
চাঁদে অন্য কোন রকেটের ধ্বংসাবেশেষের প্রভাবে ডবল ক্রেটার তৈরি হয়নি। চারটি অ্যাপোলো এসআইভি-বি ক্রেটার আউটলাইনে কিছুটা অনিয়মিত ছিল। অ্যাপোলোস ১৩, ১৪, ১৫, ১৭ প্রতিটিই ডাবল ক্রেটারের চেয়ে যথেষ্ট বড়। তার পরিমাপ ছিল ৩৫ মিটারের বেশি। আর রহস্যময় রকেট বডির ডবল ক্রেটারের সর্বোচ্চ প্রস্থ ২৯ মিটার।
চাঁদ সম্পর্কে অমূল্য অবদান রাখছে নাসা
ওয়াশিংটনে নাসার সদর দফতরে এই বিজ্ঞান মিশন পরিচালিত হয় গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার দ্বারা। ২০০৯-এর ১৮ জুনে চালু হওয়া এলআরও তার সাতটি শক্তিশালী যন্ত্রের সঙ্গে ডেটা সংগ্রহ করেছে। ওই ডেটায় চাঁদ সম্পর্কে একটি অমূল্য অবদান রেখেছে তাঁরা। মহাকাশে মানুষের উপস্থিতি প্রসারিত করতে এবং নতুন জ্ঞান লাভ করতে তা উপযোগী হবে। নাসা তাদের চাঁদ নিয়ে গবেষণা জারি রেখে এ ব্যাপারে সম্যক জানতে চাইছে।
১০, ১০০ বা ৫০০ টাকার নোট ছাপাতে কত খরচ হয়? কোন নোটের 'দাম’ সবথেকে বেশি, জানেন