আকাশ গঙ্গায় ভুতুড়ে ঘূর্ণি, চমকে গেলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা
আকাশ গঙ্গায় ভুতুড়ে ঘূর্ণি, চমকে গেলেন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা
মিল্কিওয়েতে এক অদ্ভুত ঘূর্ণির মত জিনিস আবিষ্কার করেছেন বিজ্ঞানীরা। এই জিনিস আগে কোনওদিন দেখা যায়নি বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। একটি স্নাতক থিসিস নিয়ে কাজ করতে গিয়ে তা নজরে আসে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রের চোখে। তখনই সে একটি রেডিও এনার্জিকে দেখতে পায়। এক ঘন্টার মধ্যে সেটিকে তিনবার চক্কর কাটতে দেখে ওই ছাত্র।
কী জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা?
এস্ট্রোফিজিসিস্ট নাতাশা হারলে ওয়াকার জানিয়েছেন প্রতি ১৮.১৮ মিনিটে ওটিকে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তিনিই এই ইনভেস্টিগেশনটাকে নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ওই ছাত্র ওই দৃশ্য দেখার পর। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়া থেকে একটি টেলিস্কোপ দিয়ে তারা এর উপর নজর রাখেন। মহাকাশে অনেক বস্তুকেই এভাবে জলজ্বল করতে দেখা যায় কিন্তু ঠিক ১৮.১৮ সেকেন্ড অন্তর কোনও বস্তু মহাকাশে নিয়ম মেনে ছোটাছুটি করছে তা দেখা যায় না। এক মহাকাশবিজ্ঞানীর আবার ঘটনাটা বেশ ভুতুড়ে মনে হয়েছে। তিনি বলেছেন , 'মহাকাশের বহু জিনিস আমাদের অজানা। এটা তেমন একটা বস্তু হবে। এটাকে নিয়ে এখন আমাদের পরীক্ষা চলছে।
ঠিক কী মনে হচ্ছে তাঁদের?
পুরনো কিছু তথ্য ঘেঁটে বিজ্ঞানীরা যা পেয়েছেন সেই অনুযায়ী এটি পৃথিবী থেকে ৪ হাজার আলোকবর্ষ দূরে অবস্থান করছে। এটি ব্যাপক রকম উজ্জ্বল। এর চৌম্বকীয় ক্ষমতাও বেশ শক্তিশালী। তবে এটিকে নিয়ে আরও গবেষণা করতে চাইছেন বিজ্ঞানীরা। হার্লে ওয়াকার জানিয়েছেন, 'আপনি যদি এটাকে নিয়ে ভালো করে অঙ্ক কষে দেখেন তাহলে হয়তো এর তেমন কোনও রেডিও ওয়েভ বার করার ক্ষমতা খুঁজে পাবেন না প্রতি ২০ মিনিটে'।
এটা কী নতুন কোনও জিনিস?
তিনি বলছেন এটা সম্ভবই নয়। যদি থিওরি তৈরি করা যায় তাহলে এটিকে বলা যেতে পারে আল্ট্রা লং পিরিয়ড ম্যাগনেটর। এটা কোনও তারার খসা অংশও হতে পারে, কিন্তু এটাও সম্ভব নয় কারণ এর আগে এমন একটি জিনিসকেই এভাবে মহাকাশে ছোটাছুটি করতে দেখা গিয়েছে।
আকাশগঙ্গা কী?
প্রসঙ্গত, আকাশগঙ্গা একটি ছায়াপথ। সৌরজগতের কেন্দ্র সূর্য এই ছায়াপথের অংশ। অর্থাৎ আমরা থাকি এই ছায়াপথে। সূর্য এবং তার সৌরজগৎের অবস্থান এই ছায়াপথের কেন্দ্র থেকে প্রায় ২৭০০০ আলোকবর্ষ দূরে, আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কালপুরুষ বাহুতে। এটি একটি দন্ডযুক্ত সর্পিলাকার ছায়াপথ, যা স্থানীয় ছায়াপথ সমষ্টির একটি সদস্য। আকাশগঙ্গার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক উপগ্রহ ছায়াপথ এবং নিকটস্থ ছায়াপথ অ্যান্ড্রোমিডাও এই সমষ্টির সদস্য। আকাশগঙ্গার কেন্দ্র রেডিও তরঙ্গের একটি প্রবল উৎস এবং একটি অতিভারবিশিষ্ট কৃষ্ণগহ্বর, যার নাম ধনু।।