অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক শটে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমছে মৃত্যু, বলছে সমীক্ষা
অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক শটে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমছে মৃত্যু, বলছে সমীক্ষা
করোনার আক্রমণ থেকে বাঁচার উপায় হিসেবে ভ্যাকসিনের উপর নির্ভর করা ছাড়া যে গতি নেই, তা এতদিনে কমবেশি স্পষ্ট হয়েছে সকলের কাছেই। এমতাবস্থায় সংরক্ষণ তাপমাত্রা ও বহনের সুবিধার জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা ভ্যাকসিনের উপর ভরসা রাখছিলেন বিজ্ঞানীরা। অন্যদিকে রক্ত জমাট বাঁধার পিছনে কালপ্রিট হিসেবে তুলে ধরা হয় এই টিকাকে! যদিও সাম্প্রতিক অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা সম্পর্কিত গবেষণায় যেরকম ফলাফল পেয়েছেন গবেষকরা, তাতে বেশ উৎফুল্ল আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানমহল।
এক ডোজেই ৮০% দূরে মৃত্যু!
অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক ডোজেই প্রায় ৮০% পর্যন্ত কমতে পারে মৃত্যুহার, এমনই আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছে ইংল্যান্ডের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (পিএইচই) গবেষকরা। পাশাপাশি ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনও যে দু'ডোজের পর প্রায় ৯৭% পর্যন্ত মৃত্যু প্রতিহত করতে সক্ষম হবে, সে তথ্যও দিয়েছে পিএইচই।
ভ্যাকসিনেই নিরাপত্তা নব স্ট্রেনের বিরুদ্ধে?
গত বছরের ডিসেম্বর থেকে এপ্রিলের মধ্যে আক্রান্তদের নিয়ে সমীক্ষা চালায় পিএইচই। পজিটিভ রিপোর্ট হাতে পাওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে মারা গেছেন, এমন কোভিড রোগীরা ভ্যাকসিন নিয়েছিলেন কি না, সে বিষয়েও খতিয়ে দেখা হয় বিশদে। দেখা যায়, টিকা না নেওয়া নাগরিকদের থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার এক শট নেওয়া নাগরিকরা ৫৫% সুরক্ষিত, ফাইজার ভ্যাকসিন প্রাপ্তদের ক্ষেত্রে এই হার ৪৪%।
পজিটিভ হওয়ার আগেই ২য় ডোজে সুরক্ষা অধিক?
"দুই ভ্যাকসিনের যেকোনো একটি নিলেই মৃত্যুহার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার ফলে সবমিলিয়ে নাগরিকদের প্রায় ৮০% পর্যন্ত মৃত্যুর হাত থেকে সুরক্ষিত করতে পেরেছে টিকা দুটি", বিবৃতিতে এমনই জানিয়েছে পিএইচই। অন্যদিকে পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত হওয়ার প্রায় ১ সপ্তাহ আগেই ফাইজার টিকার ২য় ডোজ নিয়ে নিলে প্রায় ৬৯% ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি চোখে পড়েছে। "দুই ভ্যাকসিনের সাফল্য মিলিয়ে মৃত্যু থেকে অন্তত ৯৭% সুরক্ষা পাবেন নাগরিকরা", মত পিএইচইর।
সোমবার ছাড় ইংল্যান্ডের লকডাউনে?
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের লকডাউনে সোমবার থেকেই বড়সড় ছাড়ের কথা ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। স্বভাবতই এর ফলে যে ভ্যাকসিন সরবরাহেও ব্যাপক সুবিধা হবে, সে দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন সকলে। পাশাপাশি ফাইজার-বায়োএনটেকের ভ্যাকসিনের ফলে ৮০-র উর্দ্ধের নাগরিকদের হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজনীয়তা কমেছে প্রায় ৯৩% পর্যন্ত, জানিয়েছে পিএইচই।