এই প্রাণীর মল দিয়ে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন, যা ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে ভারতে
এই প্রাণীর মল দিয়ে তৈরি অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন
শিম্পাঞ্জির মল দিয়ে নাকি তৈরি হয়েছে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন। অন্তত সেরকমটাই দাবি করছে গবেষকরা। অক্সফোর্ড–অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন, যার একটি সংস্করণ ভারতে ব্যবহার হচ্ছে, এটি তৈরি করা হয়েছে শিম্পাঞ্জির মল থেকে পাওয়া অ্যাডেনোভাইরাস আইসোলেটেড দিয়ে, যা জিনগতভাবে পরিবর্তন হয় এবং যা মানুষের মধ্যে বৃদ্ধি অসম্ভব। অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড–১৯ ভ্যাকসিন এখন পরিচিত হবে এজেডডি১২২২ নামে।
কীভাবে কাজ করছে এই ভ্যাকসিন
এজেডডি১২২২ সহ-সৃষ্টিকর্তা অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় এবং এর সংস্থার নাম হল ভ্যাকিটেক। এটি একটি সাধারণ কোল্ড ভাইরাস (অ্যাডেনোভাইরাস) এর দুর্বল সংস্করণের ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিরূপ-ঘাটতি শিম্পাঞ্জির ওপর ভাইরাল ভেক্টর ব্যবহার করা হয় যা শিম্পাঞ্জির মধ্যে সংক্রমণ ঘটায় এবং সার্স-কোভ-২ ভাইরাসে স্পাইক প্রোটিনের জিনগত উপাদান রয়েছে বলেও জানা যায়। টিকাকরণের পর স্পাইক প্রোটিন উৎপন্ন হয়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উদ্দীপিত করে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের ওপর হামলা করার জন্য, যাতে পরে তা পুরো শরীরকে সংক্রমণ করতে না পারে।
এই ভ।আকসিন ব্যবহার করছে ৭০টিরও বেশি দেশ
এই ভ্যাকসিনটি ছয়টি মহাদেশ জুড়ে ৭০ টিরও বেশি দেশে শর্তসাপেক্ষ বিপণনের অনুমোদন বা জরুরী ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিশ্বের বৃহৎ ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার একটি সংস্করণ 'কোভিশিল্ড' ভারতে উৎপাদন করছে এবং সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে।
দেশের করোনা পরিস্থিতি
ভারতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার আগেই দেশে করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হয়ে গিয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১,০৩,৫৫৮টি নতুন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে, যা মহামারি শুরু হওয়ার পর একদিনে সর্বোচ্চ। সোমবারের পর মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দেশে ১,২৫,৮৯,০৬৭। এদিন মৃত্যুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে, একদিনে ৪৭৮ জনের মৃত্যুর পর মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,৬৫,১০১-এ। এছাড়াও দেশে করোনায় সুস্থ হয়ে ওয়ার সংখ্যা ১,১৬,৮২,১৩৬। দেশে মৃত্যুর হার ১.৩১ শতাংশ।
ভারতে টিকাকরণ কর্মসূচি
কোভিশিল্ড ও ভারত বায়োটেকের কোভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পর গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া টিকাকরণ কর্মসূচিতে ভারতে এখনও পর্যন্ত ৭.৯১ কোটি ভ্যাকসিন ডোজ দেওয়া হয়েছে।
ফের করোনায় কাবু গোটা দেশ! থমকাবেনা অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি, দাবি অর্থমন্ত্রকের রিপোর্টে