ডাইনোসরদের অবলুপ্তির সময়ে আরও যেসব ঘটনা পৃথিবীতে ঘটেছিল!
আজ থেকে সাড়ে ৬ কোটি বছরের কিছু আগে পৃথিবীতে বিশালাকার গ্রহাণু আঘাত হেনেছিল। সেই ঘটনায় সারা পৃথিবীতে প্রবল ভূমিকম্প অনুভূত হয়। যার ফলে বিশ্বের নানা প্রান্তের আগ্নেয়গিরিগুলি থেকে অনর্গল লাভা নিঃসৃত শুরু হয়। এবং পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ এলাকাই ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
উষ্ণায়নের জের : বরফশূন্য হতে চলেছে উত্তর মেরু!
সূর্যের চেয়ে আয়তনে ৬৬ কোটি গুণ বড় 'ব্ল্যাক হোল'!
বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাত ও লাভা নিঃসরণের ঘটনা, দুটি মিলেই পৃথিবীর আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছিল। এই ধোঁয়ায় অনেক বেশি পরিমাণে টক্সিক গ্যাস ছিল। যা সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল বিশালদেহী ডাইনোসরদের উপরে। ফলে পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হয়েছিল তাদের।
এই পর্যন্ত অনেকেই জানেন। তবে সেইসময়ে আরও একটি ঘটনা পৃথিবীতে ঘটেছিল যা উঠে এসেছে বিজ্ঞানীদের গবেষণায়। জানা গিয়েছে, ডাইনোসরদের অবলুপ্তির পাশাপাশি সেই প্রাগৈতিহাসিক যুগে পৃথিবীর প্রায় সমস্ত স্তন্যপায়ী প্রজাতিরও অবলুপ্তি ঘটেছিল।
পৃথিবীতে মোট কত ধরনের প্রজাতি রয়েছে জানেন? জানলে চোখ কপালে উঠবে
সাড়ে ৬ কোটি বছর আগে সেই গ্রহাণুর হামলায় স্তন্যপায়ী প্রজাতির প্রায় ৯৩ শতাংশই বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল। বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা জীবাশ্ম পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন। তাঁদের মতে, গ্রহাণুর পৃথিবীতে আঘাতকে যতোটা ভয়ঙ্কর মনে করা হচ্ছিল, তা তার চেয়েও বেশি ভয়াবহ ছিল।
এলিয়েনের অস্তিস্ব রয়েছে, দেখতেও মানুষের মতোই, বলছেন বিশেষজ্ঞরা
সেইসময়ে কিছু স্তন্যপায়ী প্রজাতি ছিল যা ধীরে ধীরে অবলুপ্তির দিকে এগোচ্ছিল। গ্রহাণুর হামলার পরে তা নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তাদের জীবাশ্ম পাওয়া বেশ কঠিন। তবে যেসমস্ত চেনা প্রজাতি রয়েছে, তাদের জীবাশ্ম পরীক্ষা করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি আরও একটি আশ্চর্য বিষয় উঠে এসেছে গবেষণায়। দেখা গিয়েছে, গ্রহাণু হামলার পরে যেভাবে প্রায় সমস্ত স্তন্যপায়ী প্রজাতি বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল, তিন লক্ষ বছরের মধ্যে তার দ্বিগুণ প্রজাতির প্রাণ পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছিল।
গ্রহাণু হামলার পরে পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় যে প্রাণীটি বেঁচে ছিল তার আকৃতি ছিল বিড়ালের মতো। বাকী প্রাণীদের আকার আরও ছোট ছিল। এছাড়া গ্রহাণুর হামলার পরে জন্ম নেওয়া স্তন্যপায়ী প্রাণীদের প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেড়ে যায়। যার ফলে কালক্রমে পৃথিবীর দখল নিতে পেরেছে স্তন্যপায়ীরা।