লেখক অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে খুন, স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক
ঢাকা, ২৭ ফেব্রুয়ারি : কুপিয়ে হত্যা করা হল লেখক তথা ব্লগার অভিজিৎ রায়কে । বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে দুষ্কৃতীদেক হাতে মৃত্যু হয় তাঁর। অভিজিৎবাবুর স্ত্রী গুরুতর আহত হয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত পাত সাড়ে আটটা নাগাদ। অভিজিৎবাবু ও তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদ রিক্শায় করে অমর একুশে বইমেলা থেকে ফিরছিলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার কাছে চায়ের দোকানে তারা চা খেতে দাঁড়ান। আচমকাই সেখানে দুই যুবক অভিজিৎবাবুকে পিছন থেকে ছুঁরি দিয়ে কোপাতে শুরু করে। স্ত্রী রাফিদা তাদের আটকাতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাকেও ছুড়ি দিয়ে কোপাতে শুরু করে।
কিছু একটা গণ্ডগোল বুঝতে পেরে দুর থেকে ৫-৬ জন চিত্র সাংবাদিক দৌড়ে আসেন। অবস্থা বেগতিক দেখেই পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এরপর ওই চিত্র সাংবাদিকরাই রক্তাক্ত অবস্থায় অভিজিৎবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যান। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হাসপাতালেই মৃত্যু হয় অভিজিৎ রায়ের (৪২)। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের ফলেই মৃত্যু হয়েছে অভিজিৎবাবুর । অন্যদিকে স্ত্রী রাফিদার (৩৫) মাথাতেও ছুঁরির চারটি আঘাত রয়েছে। তাঁর বাঁহাতের বৃদ্ধাঙ্গুল হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
ইসলাম মৌলবাদ বিরোধী প্রচার করতেন অভিজিৎ রায়। bdnews24.com এ নিয়মিত লিখতেন এছাড়াও মুক্তমোনা ব্লগে নিয়মিতভাবেই ব্লগ লিখতেন অভিজিৎ। ইসলাম মৌলবাদ বিরোধী প্রচারের জন্য বহুবার হুমকিও পেয়েছেন অভিজিৎ। সেই কারণেই হয়তো তার উপর আক্রমণ করা হয়েছে বলে অনুমান অভিজিৎ রায়ের বাবা, বাংলাদেশের জনপ্রিয় মনোরোগবিশেষজ্ঞ অজয় রায়ের।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৪ সালে একইভাবে বইমেলা থেকে ফেরার সময় সন্ত্রাস হামলার শিকার হয়েছিলেন লেখক হুমায়ুন আজাদ। ২০১৩ সালে মিরপুরে একইভাবে খুন হয়েছিলেন ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার।